বিডি ঢাকা ডেস্ক
যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি হয়েছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া এখনও তাদের উপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ কিভের। মধ্য ইউক্রেনের দিনিপ্রো শহর এবং আশপাশের অঞ্চলে বুধবার রাতেও রুশ বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স অনুসারে, স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে ইউক্রেনের রেলপথের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রগুলিকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী।
ইউক্রেন সেনা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার একটি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১১৭টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। তার মধ্যে ৭৪টি ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে ইউক্রেন বাহিনী। এ ছাড়া ৩৮টি ড্রোন লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। দিনিপ্রোর স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, হামলায় শহরের একটি আবাসন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেটির শতাধিক জানালার কাচ ভেঙে গিয়েছে। আহত হয়েছেন তিন জন মহিলা। তাঁরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ দিকে বুধবার রাতে হামলার পরে ইউক্রেনের রেল কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ পরিবর্তন করেছেন।
আবার মস্কোও বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, রুশ বাহিনী সুজ়া শহরের দখল নিয়েছে। কুর্স্ক অঞ্চলের সবচেয়ে বড় শহর এটি। সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, গত বছরের অগস্ট মাস থেকে এই শহরটি ইউক্রেন বাহিনীর দখলে ছিল। রুশ সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স অনুসারে, বৃহস্পতিবার রুশ সেনা এবং সরকারের বেশ কিছু আধিকারিকের উপরে হামলার চেষ্টা হয়। ওই হামলার চেষ্টা প্রতিহত করেছে রুশ নিরাপত্তা বাহিনী এফএসবি। রুশ নিরাপত্তা সংস্থার দাবি, ডাকযোগে বিস্ফোরক-সহ পার্সেল পাঠিয়েছিল ‘ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনী’। বস্তুত, কিছু দিন আগেই ইউক্রেনের সঙ্গে আমেরিকার বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য ইউক্রেনকে প্রস্তাব দেয় আমেরিকা। তাতে রাজিও হন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি।
রাশিয়া এর আগে আমেরিকাকে জানিয়েছিল, তারাও যুদ্ধ থামাতে আগ্রহী। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও, রুশ প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত এমন কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়নি। এই অবস্থায় ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বাধীন রুশ প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে রাশিয়া অর্থনৈতিক অবরোধের মুখে পড়তে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। চলতি সপ্তাহেই আমেরিকার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য রাশিয়ায় পাঠাচ্ছেন তিনি।