বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১০:৪২ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীতে জমে উঠেছে ঈদ বাজার, প্রতিদিনই বাড়ছে বিক্রি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৪
  • ৩৪ বার পঠিত

বিডি ঢাকা ডেস্ক

 

 

ঈদের বকি আর মাত্র ১১ দিন। দিন যত গড়াচ্ছে রাজশাহীর ঈদ বাজার ততই জমে উঠছে। বিশেষ করে থ্রি পিস, শাড়ি ও পাঞ্জাবি বিক্রি বেড়েছে। এছাড়ও লেহেঙ্গা, ফ্লোর টাচ, আলিয়া, নায়রা, সিঙ্গেল কোত্তাসহ বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক সহজেই ক্রেতাদের নজর কাড়ছে। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে বাজার তত জমে উঠছে। প্রতিদন গড়ে ৭০ থেকে ৮০ কোট টাকার বেচাকেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।

ক্রেতাদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিটি পোশাকের দামই উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি। ঈদুল ফিতরে নারী ও শিশুদের পোশাকের বিক্রি বেশি হয়। সেসব পোশাকের দামও যেন এর মধ্যে তুলনামূলকভাবে বেশি। নতুন পোশাকের পসরা সাজানো বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারিতেই এবার তাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে পোশাক। আর ক্রয়মূল্য বেশি হওয়ার কারণেই তাদের বেশি দামে বিক্রিও করতে হচ্ছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রাজশাহীর সাহেববাজার, আরডিএ মার্কেট ও গণকপাড়া এখন বেশ সরগরম। রমজানের প্রথম ১০ দিন পার হওয়ার পর এসব এলাকায় বিপণিবিতানগুলোতে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে।

প্রতি বছরের মতো এবারও ভিন্ন ভিন্ন নামের পোশাক এসেছে বাজারে। এ বছর আলিয়া কাট, আরিগ্রাউন্ড, ইন্ডিয়ান গ্রাউন্ড, নাইরা কাট, সারারা, গাড়ারা ও পাকিস্তানি গাউন বেশি চলছে। এর মধ্যে ক্রেতাদের প্রধান আকর্ষণে পরিণত হয়েছে নারীদের ‘আলিয়া কাট’ আর ‘নাইরা কাট’ জামা। এ ছাড়া বাচ্চাদের পোশাক, বিশেষ করে বিভিন্ন নকশার পাঞ্জাবিতেও রয়েছে সমান আকর্ষণ। ১২০০ থেকে শুরু করে ১৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব পোশাক।

নগরীর সাহেববাজারে অবস্থিত আরডিএ মার্কেটের ক্রেতাগোষ্ঠী প্রধানত মধ্যম আয়ের মানুষ। এবারও এই মার্কেটে বাহারি রঙের পোশাক এসেছে। তবে দাম বেশি বলে অসন্তুষ্টি জানাচ্ছেন ক্রেতারা।

বাবা মমিনুল ইসলামের হাত ধরে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছিল ছোট্ট শিশু মাসুদা। তারও পছন্দ ‘নাইরা কাট’ জামা। বাবা মমিনুল ইসলাম বলেন, “দাম অনেক বেশি। গতবারে চেয়ে অন্তত দেড় থেকে দ্বিগুণ বেশি দামে পোশাক বিক্রি হচ্ছে। এখন উৎসব তো, যত কষ্টই হোক না কেন, বাচ্চাদের নতুন পোশাক কিনে দিতেই হবে। একটা ‘নাইরা কাট’ জামা কিনেছি, ১৮০০ টাকা নিয়েছে। এটা অনেক বেশি।”

রাজশাহীর আরডিএ মার্কেটের বিক্রেতা মাসুদ রানা বলেন, রোজার প্রথম থেকেই ক্রেতারা ঈদের কেনাকাটা করতে আসতে শুরু করেছেন। গত বছরের চেয়ে এ বছর সব পোশাকের দামই বেড়েছে। এবার বেশি আলিয়া কাট, আরিগ্রাউন্ড, ইন্ডিয়ান গ্রাউন্ড, নাইরা কাট, সারারা, গাড়ারা ও পাকিস্তানি গাউন। তবে তরুণীদের বেশি আগ্রহ আলিয়া কাট ও নাইরা কাটে। এগুলো মানভেদে ১২০০ থেকে ১৫ হাজার টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com