বিডি ঢাকা ডেস্ক
রাজশাহীর চারঘাট ও পুঠিয়ায় পৃথক দুটি অভিযানে ২৯১ বোতল ফেন্সিডিল-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা ডিবি পুলিশ।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল পোনে ৬টায় চারঘাট থানাধীন শ্র্রীখন্ডি পূর্ব গ্রাম হতে ২০১ বোতল ফেন্সিডিল-সহ তিনজন ও দুপুর ১টায় পুঠিয়া থানাধীন বানেশ্বর বাজারের পুরাতন কলাহাট এলাকা হতে ৯০ বোতল ফেন্সিডিল-সহ দুইজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীরা হলো: মোঃ মোসাব্বির হোসেন অনিক (২২), মোঃ সাগর আলী আগুন (২৯), মোঃ রনি ইসলাম (২৯), মোঃ শাহ আলম (২৭) ও মোঃ রাশিদুল ইসলাম রিপন (২৫)। মোঃ মোসাব্বির হোসেন অনিক রাজশাহী জেলার চারঘাট থানার ইউসুফপুর গ্রামের মোঃ আ: মতিনের ছেলে, মোঃ সাগর আলী আগুন একই থানার একই গ্রামের মোঃ শরিফুল ইসলামের ছেলে, মোঃ রনি ইসলাম একই থানার একই গ্রামের মৃত আনারুলের ছেলে, মোঃ শাহ আলম লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানার শালমারা ভেলাবাড়ী গ্রামের মোঃ নুর ইসলামের ছেলে এবং মোঃ রাশিদুল ইসলাম রিপন রাজশাহী জেলার বাঘা থানার আলাইপুর হাজামপাড়া গ্রামের মোঃ মিরাজুল ইসলামের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি), রাজশাহী মোঃ রফিকুল আলম।
তিনি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারা যায়, চারঘাট থানাধীন শ্র্রীখন্ডি পূর্ব গ্রামের জনৈক মোঃ আনছার আলী-এর বসবাড়ির সামনে হেয়ারিং রাস্তার সম্মুখে চারজন ব্যক্তি অবৈধ মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল নিজেদের হেফাজতে রেখে ক্রয়-বিক্রয় করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাজশাহী জেলার ডিবি’র এসআই মোঃ মাহাবুব আলম ও তার সঙ্গীয় ফোর্স বৃহস্পতিবার সকাল পোনে ৬টায় সেখানে অভিযান চালিয়ে মোঃ মোসাব্বির হোসেন অনিক, মোঃ সাগর আলী আগুন ও মোঃ রনি ইসলামকে অবৈধ মাদকদ্রব্য ২০১ বোতল ফেন্সিডিল-সহ গ্রেফতার করে।
অপর এক অভিযানে জেলা ডিবি’র এসআই মোঃ দাউদ উজ জামান আকাশ ও তার সঙ্গীয় ফোর্স গত দুপুর ১টায় পুঠিয়া থানাধীন বানেশ্বর বাজারের পুরাতন কলাহাট এলাকা হতে মোঃ শাহ আলম ও মোঃ রাশিদুল ইসলাম রিপনকে অবৈধ মাদকদ্রব্য ৯০ বোতল ফেন্সিডিল-সহ গ্রেফতার করে।
তিনি আরও জানান, অপর একজন সহযোগী মাদক কারবারী মোঃ শান্ত কৌশলে পালিয়ে যায়। পলাতক মাকদ কারবারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ফেন্সিডিল উদ্ধারের এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ও পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে রাজশাহী জেলার চারঘাট ও পুঠিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এ দুইটি মামলা রুজু হয়েছে।