তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরের কলমা ইউনিয়ন (ইউপি) যুবলীগের বর্ধিতসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ইউপি যুবলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও রনক হোসেনের সঞ্চালনায় কলমা স্কুল মাঠ চত্ত্বরে আয়োজিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আবু বাক্কার ও সোনীয়া সরদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি খাদেমুন নবী বাবু চৌধুরী, (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক রামকমল সাহা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওহাব হোসেন লালু, আতাউর রহমান,আবু সাঈদ সরকার,মুন্সেফ আলী,হারুনুর রশিদ,রোকনুজ্জামান, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের ইসলাম, তানোর পৌর যুবলীগের সভাপতি রাজিব সরকার হিরো,কলমা ইউপি চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম স্বপন, কাঁমারগা ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলে রাব্বী ফরহাদ, সম্পাদক সুফি কামাল মিন্টু, সাইফুল আলম মুজিবুর রহমান, পাঁচন্দর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, বাধাইড় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল রানা,মোর্শেদুল মোমেনিন রিয়াদ, জাহাঙ্গীর আলম,মাহাবুর রহমান মাহাম প্রমুখ।এছাড়াও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। আসন্ন পৌরসভা ও ইউনিয়ন ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর দিকনির্দেশনায় আগামিতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সাংগঠনিক কর্মকান্ড জোরদার এবং আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংকের পরিধি কিভাবে বৃদ্ধি ও নৌকার বিজয় নিশ্চিত করা যায় মুলত তার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হয়। এদিকে আসন্ন পৌরসভা ও ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সাংগঠনিক অবস্থা এবং কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা করা হয়। তানোরের দুটি পৌরসভা ও সাতটি ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা দলীয় মনোয়ন প্রত্যাশা করে মাঠে নেমেছেন। আওয়ামী লীগ দেশের সর্ববৃহত রাজনৈতিক দল এই দলে মনোনয়ন পাবার মতো অনেক যোগ্য নেতা রয়েছে তবে দল থেকে তো একজনকে মনোনয়ন দেয়া হবে। এসব বর্ধিত সভায় তাই মনোনয়ন নয় দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ড কিভাবে আরো জোরদার ও দলের মনোনিত প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করা যায় সেই বিষয়গুলোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে দলীয় মনোনয়ন দিবেন তাকেই বিজয়ী করতে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন বলে ওয়াদা করেন। এছাড়াও মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে কেউ যদি বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোট করার নামে দলে বিশৃঙ্খলা সৃস্টি করতে চাই তাহলে তাকে শক্ত হাতে দমন করা হবে বলে উপস্থিত সকল নেতাকর্মী ঐক্যমত পোষণ করেন। এদিকে তৃণমুুুুলের নেতাকর্মীরা বলেন, বিগত দিনে যারা ভুল করে নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছিল তাদের সু-পথে ফিরে আশার আহবান জানিয়ে বলেন, বিএনপি সৃস্টি করেছিল হাওয়া ভবন আর মেয়র গোলাম রাব্বানী সৃস্টি করেছিল সাইদুর ভবন যে সাইদুর কুলির সরদার ও মুন্ডুমালা মহিলা কলেজের নৈশপ্রহরী। তিনি নৌকার ভোটে মেয়র হয়ে জামায়াত-বিএনপির এজেন্ডা হয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, এরকম বেঈমান-মিরজাফর ও বিশ্বাসঘাতক আর নেতৃত্বে দেখতে চাই না পৌরবাসী। অন্যদিকে তৃণমুলের নেতাকর্মীদের স্বত্বঃস্ফুর্ত অংশ গ্রহণে বর্ধধিত সভা স্বরণকালের সর্ববৃহত জনসভায় পরিণত হয়ে।