আলিফ হোসেন, তানোর : রাজশাহীর তানোরে প্রায় ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে গৃহীত প্রকল্প অতিদরিদ্রদের জন্য গৃহীত ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান সৃস্টির পাশাপাশি গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণে বড় ভুমিকা রাখছে। এদিকে এসব কর্মসুচি বাস্তবায়নের ফলে একদিকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের অতিদরিদ্ররা অভাব অনটনের সময় কাজ পাচ্ছে, অন্যদিকে এলাকার গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কাঁচা রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন ও সংস্কার হচ্ছে। জানা গেছে, অনিয়ম-দূর্নীতির বিরুদ্ধে স্থানীয় সাংসদ ওমর ফারুক চৌধূরীর কঠোর অবস্থান ও তার প্রতিনিধি উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার কঠোর নজরদারির ফলে এসব প্রকল্পের সুফল পেতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের (ইউপি) প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের কাঁচা রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক উন্নয়নে রাতারাতি এসব এলাকায় ব্যাপক পরিবর্তন দেখা গেছে। তানোরের কলমা, পাঁচন্দর ও বাধাইড় ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এমন কিছু প্রকল্প রয়েছে, যেখানে দেশ স্বাধীনের পরে কোনো উন্নয়ন কাজ (মাটির) পৌচ্ছেনি। এদিকে দীর্ঘদিন পরে এসব গ্রামাঞ্চলের রাস্তা-ঘাটের দৃশ্যমান ব্যাপক উন্নয়নে সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তানোরে চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরে অতিদরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির (কর্মসংস্থান) প্রথম পর্যায়ে ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) অনুকুলে মোট ৩৬টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এসব প্রকল্পে প্রতিদিন ২০০ টাকা মজুরিতে ১ হাজার ১০৮ জন শ্রমিক কাজ করছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। কলমা ইউপির গোদামারী আদিবাসি পল্লীর বাসিন্দা সুরমনি হাসদা (৫৫), গণেশ টুডু (৪৫) ও সেফালী হেমরম (৩২) বলেন, তাদের গ্রামে যাতায়াতের রাস্তা হবে এটা তারা কখনও কল্পনাও করেননি। কিন্তু এবার তাদের গ্রামের যাতায়াতের জন্য মোয়াতলা ব্রীজ দিয়ে মাটির রাস্তা তৈরী করা হয়েছে। পাঁচন্দর ইউপির চিমনা গ্রামের বাসিন্দা আনারুল ইসলাম (৪৫) বলেন, দীর্ঘদিন পরে তাদের গ্রামের মাটির রাস্তা সংস্কার ও কবরস্থানে মাটি ভরাটের কাজ করা হয়েছে। বাধাইড় ইউপির জোকারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাইদুর রহমান (৫৪) বলেন,এবার তাদের গ্রামের রাস্তায় মাটি ভরাটের কাজ করায় গ্রামবাসির দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) তারিকুল ইসলাম বলেন, এবার এমপি মহোদয়ের কঠোর নির্দেশ ও তার প্রতিনিধি উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়ের দেখভাল করায় প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা কাজে কোনো অনিয়ম ও দূর্নীতির আশ্রয় নিতে পারেননি। তিনি বলেন, প্রতিটি প্রকল্পে দৃশ্যমান উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। এব্যাপারে স্থানীয় সাংসদের প্রতিনিধি, তানোর উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, এবার কর্মসৃজন কর্মসূচির প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ স্থানীয় সাংসদ (এমপি)মহোদয়ের নির্দেশে প্রতিটি প্রকল্পে কঠোর নজরদারি করায় এলাকার গ্রামীণ অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এব্যাপারে বাধাইড় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, এবার কর্মসৃজন কর্মসূচির কাজে অনিমের কোনো সুযোগ নাই। তিনি বলেন, এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে তার এলাকায় গ্রামীণ অবকাঠামোর ব্যাপক দৃশ্যমান উন্নয়নের পাশাপাশি অতিদরিদ্র কর্মহীনদের কর্মসংস্থানের সূযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এব্যাপারে পাঁচন্দর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, কর্মসৃজন কর্মসুচি বাস্তবায়নের ফলে এলাকার গ্রামীণ অবকাঠামোর চিত্র পাল্টে গেছে, এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মানও বেড়েছে।