আলিফ হোসেন,তানোরঃ রাজশাহীর তানোরে বায়ার
কোম্পানির বালাইনাশক এ্যান্ট্রকল স্প্রে করায় প্রায় অর্ধশতাধিক কৃষকের কয়েকশ’ বিঘা জমির আলু গাছ ঝলসে গেছে। এতে এলাকার প্রায় অর্ধশত প্রান্তিক কৃষক সর্বশান্ত হয়ে পথে বসেছে। এদিকে ঘটনা ধাঁমাচাঁপা দিয়ে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে কোম্পানীর কতিপয় কর্মকর্তা ও ডিলার বড় অঙ্কের অর্থ নিয়ে বিভিন্ন মহলে দৌড়- ঝাঁপ শুরু করেছে।অপরদিকে এ ঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্য উঠে এসেছে, বিরাজ করছে উত্তেজনা, কৃষকদের ভাষ্য ব্যবসায়ীরা নিম্নমাণের ভেজাল ও রিপ্যাক করা এ্যান্ট্রাকল তাদের কাছে বিক্রি করেছে, আর ব্যবসায়ীরা বলছে, এটার দায় কোম্পানীর তারা এসব বালাইনাশক তাদের কাছে সরবরাহ করেছে, তবে কোম্পানীর প্রতিনিধির দাবি এটা ডিলার বা ব্যবসায়ীদের কারসাজি কারণ তাদের পণ্য খারাপ হলে সব জায়গায় এমন হবে। স্থানীয়দের দাবি তারা এতোসব বেঝেন না ক্ষতিপুরুণ চায়। তারা বলেন, তানোর পৌর সদরের গোল্লাপাড়া বাজারের মেসার্স সোয়েব ট্রেডার্স ও তানোর পাড়ার চৌধুরী ট্রেডার্স থেকে বায়ারের এ্যান্ট্রাকল কিনে প্রয়োগের পর পুরো আলুখেত নস্ট হয়ে গেছে, এক বিঘা আলু চাষে খরচ প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। এদিকে এলাকার কৃষকেরা
বায়ার কোম্পানীর ডিলারকে গ্রেফতার ও দৃস্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেছেন
উপজেলার সরনজাই ইউপির
শুকদেবপুর গ্রামের নাদের আলীর পুত্র প্রান্তিক আলু চাষী শামিম হোসেন বলেন, এই বছর তিনি সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন, সব ধরনের মোড়ক থেকে আলুকে রক্ষার জন্য গত শুক্রবার তিনি বায়ার কোম্পানির এ্যন্ট্রাকল
জমিতে স্প্রে করার পরের দিন শনিবার সকালে জমিতে গিয়ে দেখেন স্প্রে করা জমির সবগুলো আলুর গাছ পুড়ে গেছে। একই কথা বলেন ইয়াদ আলী পুত্র আসমত আলী। তিনি বলেন, তিনিও এবছর ২ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলেন তারও একই অবস্থা। তারা বলেন, গোল্লা পাড়া বাজারের সৈয়ব আলী ট্রেডার্সের মালিক সৈয়ব আলী বায়ার কোম্পানির ডিলার তার মাধ্যমেই বায়ার কোম্পানির এন্ট্রাকল নামক বালাইনাশক জমিতে স্প্রে করার পর ৫০ থেকে ৬০ জন প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র আলু চাষীর শত শত বিঘা জমির আলুর গাছ পুড়ে গেছে। এতে এসব আলু চাষীর স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে, পাশাপাশি নিঃস্ব হয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত আলু চাষীরা তাদের ক্ষতি পুরন চেয়ে প্রশাসেনর উর্ধ্বতন
কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মুঠোফোনে কলগ্রহণ না করায়
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)
সুশান্ত কুমার মাহাতো এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলামের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তানোর থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত আলু চাষীদের ক্ষতিপুরন পাইয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, শতশত বিঘা জমির আলু পুড়িয়ে ফেলার পেছনের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তদন্ত চলছে।