বিডি ঢাকা অনলাইন ডেস্ক
শারদীয় দুর্গোৎসবের সঙ্গে বাঙালির সংস্কৃতি ও আচার-আচরণের সম্পর্ক রয়েছে। এটা একটি সার্বজনীন রূপ লাভ করেছে। দেশের সংস্কৃতি রক্ষায় সব ধর্মের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ গড়তে হবে।
এক্ষেত্রে প্রয়োজন সকলের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা, সহনশীলতা ও সব ধর্মের প্রতি সহমর্মিতা। সেই লক্ষে দেশ থেকে সকল ধরনের অনাচার-পাপাচার দূর করার পাশাপাশি অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সমৃদ্ধ করতে হবে।
সোমবার (৪ অক্টোবর) রাতে বাঘায় নারায়ণপুর সার্বজনীন কেন্দ্রীয় দূর্গা মন্দিরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেছেন বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ্ এনডিসি।
পূজামণ্ডপে নিরাপত্তার বিষয়ে রেঞ্জ ডিআইজি মো আব্দুল বাতেন বলেন- ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। রাজশাহীর প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে কঠোর নিরাপত্তা বলয় নিশ্চিত করা হয়েছে। যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা
মোকাবেলায় পুলিশ-প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রাজশাহীতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আনন্দঘন পরিবেশে এবং নির্বিঘে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কোথায়ও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সেই সাথে আসন্ন দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বাঘা উপজেলা শাখার সভাপতি সুজিত কুমার পান্ডের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বাবু রথীন্দ্রনাথ দত্ত, জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বাঘা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অপূর্ব কুমার সাহার সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. ইফতে খায়ের আলম, পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতারসহ বাঘা উপজেলার
বিভিন্ন দফতরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
উল্লেখ্য, বাঘায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সুবিধা বঞ্চিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করা হয়েছে। এরপর নারায়ণপুর সুর সপ্তক সংগীত বিদ্যালয়ের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে।