শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীর বাজারে নেই বোতলজাত সয়াবিন তেল

বিডি ঢাকা ডট কম নিউজঃ
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২২
  • ১০১ বার পঠিত

বিডি ঢাকা অনলাইন ডেস্ক: রাজশাহীর বাজারে নেই বোতলজাত সয়াবিন তেল। রাজশাহীতে ঈদের আগে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। খোলা তেল পাওয়া গেলেও তা বিক্রি হচ্ছে বোতলজাত সয়াবিনের চেয়ে বেশি দামে। বেশির ভাগ দোকানি বলছেন, পাইকারি বাজারে বোতলজাত তেল পাওয়া যাচ্ছে না। মাসখানেক ধরেই এ অবস্থা চলছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কোনো তৎপরতাও দেখা যায়নি।

গতকাল শুক্রবার সকালে নগরীর সাহেববাজার, লক্ষ্মীপুর মোড়, বেলদারপাড়া মোড় ও শিরোইল এলাকার মুদি দোকানগুলোতে ঘুরে কোথাও বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি। সাহেববাজার এলাকায় সব মিলিয়ে প্রায় ৫০টি মুদি দোকানের কোনটিতেই বোতলজাত সয়াবিন তেল সাজানো দেখা যায়নি। তবে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সাহেববাজারের হাবিব স্টোরের বিক্রয়কর্মী সারোয়ার আলী জানান, এক মাস ধরে পরিবেশক বোতলজাত সয়াবিন তেল দিতে পারছেন না। কোনো কোম্পানিরই তেল মিলছে না। তিনি নিজের বাড়ির জন্য দোকানে দোকানে ঘুরেও বোতলজাত তেল পাননি। এখন ১৮৫ টাকা লিটারে সয়াবিন ও ১৭৫ টাকা দরে পাম ওয়েল কিনে বিক্রি করছেন।

দারুল হাবিব নামের একটি দোকানের মালিক শাহাদাত হোসেন জানালেন, এক মাস আগে শেষবার বোতলজাত সয়াবিন তেল পেয়েছিলেন। লিটারে এই তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ছিল ১৬০ টাকা। বাজারে এখন খোলা তেলই বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা লিটারে। শাহাদাত বলেন, কারও কাছে যদি এখন বোতলজাত তেল থেকেও থাকে তাহলে সেটা বের করে খোলা হিসেবেই বিক্রি করা হচ্ছে। এতে লাভ বেশি। বোতলজাত তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ধরে বিক্রি করলে লাভ কম।

সাহেববাজারের পাইকারি তেল বিক্রেতা মেসার্স সাব্বির স্টোরের মালিক সাব্বির হোসেন বলেন, প্রায় সব কোম্পানিই এখন তেল দেওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত দিচ্ছে। বলছে, তেলের সঙ্গে ময়দা বা চিনিও নিতে হবে। এভাবে তো বিক্রি করা যায় না। সে জন্য তেলই নিচ্ছি না। কোম্পানিও শুধু তেল দিচ্ছে না। তাই সংকট। তবে এখনো কোথাও কোথাও বোতলজাত তেল পাওয়া যাচ্ছে বলে জানালেন জলিল অ্যান্ড সন্স নামের এক দোকানের মালিক আবদুল জাব্বার রানা। তিনি বলেন, এক মাস ধরেই আমরা কিনতে গেলে বোতলের তেল পাচ্ছি না। অথচ দুথএকজন ক্রেতাকে বোতল হাতে নিয়ে যেতে দেখছি। বেশি দাম দিলে বোতলজাত তেলও পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু কোনো দোকানে তেলের বোতল সাজানো নেই। আমরা খোলা তেল এনে বিক্রি করছি।
বোতলজাত তেলের জন্য পর পর আট থেকে দশটি দোকান ঘুরেও বোতলজাত তেল পাননি আবদুর রহমান। শেষে ১০ টাকায় দুই লিটারের একটা বোতল কিনে তাতে খোলা তেলই ভরে নিচ্ছিলেন সাহেববাজারের এক দোকানে। আবদুর রহমান বলেন, ‘আজব এক ব্যাপার! সামনে ঈদ বলে বোতলের তেল উধাও। বোতলের তেলে মূল্য লেখা থাকে। বেশি দামে বিক্রি করতে গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ধরা পড়ার ভয় আছে। সে জন্য এখন বোতল থেকে তেল বের করে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।’

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক অপূর্ব অধিকারী জানান, বোতলজাত তেলের সংকটের কথা তার জানা নেই। শুক্রবার থেকে লম্বা ছুটিও শুরু হয়েছে। এর মধ্যে তারা একা অভিযানে নামতে চান না। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। তেলের সংকট হলে জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com