বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নাটোরে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার দুর্গাপূজা নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখরভাবে উদযাপনের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে: পুলিশ কমিশনার রাজশাহী মহানগরীতে বিএসটিআই’র অনুমোদনবিহীন দই-মিষ্টি বিক্রেতাকে জরিমানা তানোরে বিনামুল্য ছাগল বিতরণ রাজশাহীতে শারদীয় দুর্গোৎসব: আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিদর্শন করলেন আরএমপি পুলিশ কমিশনার ফুলছড়িতে গাইনি চিকিৎসক না থাকায় বন্ধ সিজারিয়ান অপারেশন ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সাড়ে ৬ ঘণ্টা ধরে তীব্র যানজট সাইনবোর্ড থেকে মদনপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটারজুড়ে এখনো যানজট রু থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে অ্যানথ্রাক্স, পরিস্থিতি কেমন ও ঝুঁকি কতটা এখন ঘরে বসেই জনগণ ভূমি সেবা পাচ্ছে : জেলা প্রশাসক

রু থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে অ্যানথ্রাক্স, পরিস্থিতি কেমন ও ঝুঁকি কতটা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫
  • ২ বার পঠিত

বিডি ঢাকা ডেস্ক

 

 

 

রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় মানুষের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইডিসিআর)। উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় আক্রান্তদের চিকিৎসা করা হচ্ছে এবং গবাদি পশুর মধ্যে রোগ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

পীরগাছার কিছু বাড়ির ফ্রিজে রাখা গরুর মাংসেও অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু পাওয়া গেছে। জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন মোঃ রুহুল আমিন জানিয়েছেন, আরও দুটি উপজেলার সন্দেহভাজন রোগীদের নমুনা আইইডিসিআরকে পাঠানো হয়েছে।

পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, গত দেড় মাসে কয়েকটি ইউনিয়নের অন্তত ৩০ জন অ্যানথ্রাক্স উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং এখন সুস্থ আছেন। তবে দুজনের মৃত্যুর খবরের ভিত্তি সঠিক নয়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ একরামুল হক মন্ডল বলেন, ‘দেড় মাসে অন্তত পাঁচটি অসুস্থ গরু জবাই হয়েছে। এর মধ্যে দুটি গরুর মাংস স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল। আক্রান্তদের অনেকেই এই মাংসের সংস্পর্শে এসেছিলেন।’

আইইডিসিআরের পরিচালক তাহমিনা শিরীন জানিয়েছেন, ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর এলাকায় গিয়ে ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়, যাদের মধ্যে ৮ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স জীবাণু শনাক্ত হয়েছে।

রোগের ঝুঁকি ও প্রতিরোধ

অ্যানথ্রাক্স সাধারণত গরু, ছাগল, মহিষের মধ্যে দেখা যায় এবং আক্রান্ত প্রাণীর মাংস, রক্ত, লালা, হাড় বা নাড়িভুঁড়ির সংস্পর্শে মানুষও সংক্রমিত হতে পারে। তবে মানুষ থেকে মানুষে রোগ ছড়ায় না। চামড়ায় ক্ষত, ফোঁড়া বা জ্বর, গলা ও মাংসপেশিতে ব্যথা হলো প্রধান উপসর্গ।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মুশতাক হোসেন বলেন, ‘অ্যানথ্রাক্সের চিকিৎসা আছে। অসুস্থ গরু মারা গেলে মাটির গভীরে পুতে ফেলতে হবে এবং কাক বা শকুনের জন্য বাইরে রাখা যাবে না। পশুকে নিয়মিত টিকা দিতে হবে এবং সংক্রমিত হলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।’

স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের তৎপরতায় পীরগাছাসহ জেলার কয়েকটি উপজেলায় দেড় লাখের বেশি গবাদি পশুকে অ্যানথ্রাক্স ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। কসাইখানা ও গরুচাষীদের অসুস্থ গরু বা ছাগল জবাই বন্ধ রাখতে প্রশাসন সচেষ্ট।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ তানভীর হাসনাত রবিন বলেন, ‘অগাস্টের শেষ দিক থেকে পীরগাছায় অ্যানথ্রাক্স উপসর্গ নিয়ে রোগীরা আসা শুরু করেছেন। যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের অনেকেই এখন সুস্থ। সদর ও পারুল ইউনিয়নের বাইরে নতুন আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি।’

চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, রান্নার আগে কাঁচা মাংসের সংস্পর্শে যারা আসেন, তারা অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকতে পারেন। তবে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে রান্না করলে জীবাণু ধ্বংস হয় এবং সাধারণ মানুষের জন্য ঝুঁকি খুব কম।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com