আলোচনা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমানের ১০৫তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে শওকত ওসমান স্মৃতি পরিষদের আয়োজনে প্রয়াত কথাসাহিত্যিকের এই জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়।
এতে অতিথি ছিলেন শওকত ওসমানের ছেলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, শওকত ওসমানের নাতি ইশরার ওসমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাদুঘরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান।
পিতার স্মৃতিচারণ করে ইয়াফেস ওসমান বলেন, বাবা আজীবন শোষিতের পক্ষে লিখেছেন। তার লেখায় বঞ্চিত মানুষের কথা ফুটে উঠেছে। বাংলাদেশে কথাশিল্পী শওকত ওসমানের মতো সৎ সাহসী লেখকের বড্ড অভাব।
মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, কথাশিল্পী শওকত ওসমান যে সাহিত্য রচনা করেছেন, সেই সাহিত্য কালজয়ী হয়েছে। তিনি লেখনীর মধ্য দিয়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।
ইশরার ওসমান বলেন, আমি কথাশিল্পী শওকত ওসমানের কাছ থেকে মানুষকে মানুষ হিসেবে শ্রদ্ধা করতে শিখেছি। সমাজে বসবাস করতে গেলে মানুষই মানুষের কাছে আসবে। মানুষই মানুষের সবাই মিলে সংগ্রাম করবে, তবেই না সমাজ মানুষের বেড়ে ওঠার জন্য তাকে মেলে ধরবে। দাদু অনেক দুঃখ করে বলতেন এদেশে মানুষ হওয়ার আগে, হিন্দু বা মুসলমান হওয়া লাগে।
স্বাগত বক্তব্যে আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দিপু সিদ্দিকী ঢাকার একটি রাস্তা শওকত ওসমানের নামে নামকরণের প্রস্তাব করেন। সবশেষে কথাশিল্পী শওকত ওসমান রচিত ও তার ছেলে জাঁনেসার ওসমান নির্মিত অনুদানের চলচ্চিত্র ‘পঞ্চসঙ্গী’ প্রদর্শিত হয়।