শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় করোনারি কেয়ার ইউনিট-সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে।
রবিবার তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয় বলে দেশ রূপান্তরকে তার এক ব্যক্তিগত চিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য গত রাতে খালেদা জিয়ার শরীর থেকে দুই ব্যাগ রক্ত নেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
বাসায় ফেরার ছয় দিনের ব্যবধানে খালেদা জিয়াকে শনিবার আবারও রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘শারীরিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে ভর্তির পরামর্শ দেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে চেয়ারপারসনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দল গঠিত মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘গত শুক্রবার আবার জ্বর আসে খালেদা জিয়ার। এছাড়া তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নেই।’
গত ৭ নভেম্বর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ২৬ দিন চিকিৎসা শেষে বাসায় ফেরেন ৭৬ বছর বয়সী খালেদা। তার আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চলতি বছরের মাঝামাঝিতে ৫৪ দিন হাসপাতালে ছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। দেশে করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর পরিবারের আবেদনে গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়’ তাকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয় সরকার। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাড়ি ফিরোজায় রয়েছেন।
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়েছিল তার পরিবার। তবে সরকার বলেছে, সাময়িক মুক্তির শর্ত অনুযায়ী তাকে দেশে রেখেই চিকিৎসা দিতে হবে।