মোঃ জালাল উদ্দিন ঃ এবার কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সবার দৃষ্টি কেড়েছে ৩২ মণ ওজনের ‘চাঁপাই সম্রাট’। চলন বলন এবং আয়েশি খাবার খাওয়ার জন্য তার নাম চাঁপাই সম্রাট।
জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউপি সদস্য জুলফিকার আলী এই চাঁপাই সম্রাট নামের গরুটির মালিক। জেলার সবচেয়ে বড় ও দেখতে সুন্দর হওয়ায় গরুটিকে দেখতে প্রতিদিন তার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক জনতা। দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন ক্রেতারাও। মালিক দাম হাঁকছেন ৩০ লাখ টাকা।
ইউপি সদস্য জুলফিকার আলী জানান, বিগত ১৫ বছর থেকে গরুর খামার করে আসছি। বর্তমানে আমার খামারে ‘চাঁপাই সম্রাটসহ ৪টি গরু আছে। ৪টি গরুই বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আকর্ষনীয় হচ্ছে ‘চাঁপাই সম্রাট’। এটির উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি।
তিনি জানান, আমার খামারে একটি অস্ট্রেলিয়ান জাতের একটি গাভী ছিল। তার গর্ভ থেকেই চার বছর আগে জন্ম হয় এই গরুটির। ছোট থেকেই বেশ ভালো খাবার আর প্রাকৃতিক পরিবেশে বড় হওয়ায় সে খুবই শাস্ত স্বভাবের। এ ধরণের গরু এ বছরে আর একটিও দেখিনি।
তিনি আরও জানান, গরুটিকে মোটাতাজা করতে বিশেষ কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়নি। স্বাভাবিকভাবে খড়, ভূষি, গম, খৈল, কলা ও প্রাকৃতিক ঘাসই খেয়ে থাকে। এছাড়া প্রতিদিন লালি ও খৈল দিয়ে খাবার প্রস্তুত করে খেতে দেয়া হয় গরুটিকে। বাসি বা উদ্বৃত্ত খাবার গরুটি খায় না। সে সর্বদা আরাম আয়েশে থাকতে পছন্দ করে। গত জুন মাসের শেষের দিক থেকেই গরুর পাইকাররা আসছেন ‘চাঁপাই সম্রাটের খোঁজে। তারাও গরুটিকে দেখে বেশ আনন্দ পাচ্ছেন। অনেকে দর- দামও করছেন কিন্তু আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় তাকে বিক্রি করছি না। ঈদের প্রায় সপ্তাহ খানেক আগেই ঢাকার কোন এক পশুর হাটে গিয়ে গরুটিকে বিক্রি করবো।
শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রণজিৎ চন্দ্র সিংহ বলেন, শিবগঞ্জ উপজেলায় প্রতি বছরই ঈদকে সামনে রেখে পশু মোটাতাজা করে থাকেন। তাছাড়া প্রতি বছরই অনেকেই বেশি ওজনের ষাঁড় গরু লালন পালন করে আলোচিত হয়ে আসছে। তবে ‘চাঁপাই সম্রাট সম্পর্কে আমাকে এখন পর্যন্ত কেউ জানান নি। আগ্রহী ক্রেতারা এই নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন-০১৭৪০৮৮৪২৫৯!