শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৪ অপরাহ্ন

শেষ হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা, রাতে ইলিশ ধরতে নামছেন জেলেরা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১০ বার পঠিত

বিডি ঢাকা ডেস্ক

 

 

টানা ২২ দিন পর আজ রবিবার মধ্যরাত থেকে শেষ হচ্ছে মা ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞা। ভোলার লালমোহন উপজেলার জেলেরা মাছ শিকারে যেতে এরইমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। তবে দেনার বোঝা মাথায় নিয়েই এসব জেলেদের নদীতে মাছ শিকারে নামতে হবে। উপজেলার মেঘনা তেঁতুলিয়া নদীর ছোট-বড় অন্তত ২৭টি মৎস্যঘাট দিয়ে মাছ শিকারের জন্য নদীতে নামবেন জেলেরা। এ উপজেলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ২৪ হাজার ৬০৮ জন। তবে প্রকৃত জেলের সংখ্যা আরো অধিক।

লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের বাতিরখাল মৎস্যঘাট এলাকার জেলে মো. হাসান, আবুল কালাম, মো. সোহেল এবং নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘গত ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু করে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত নদীতে সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। এই নিষেধাজ্ঞার আগেও আমরা নদীতে তেমন মাছ পাইনি। এরপর আবার নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা সব জেলেরাই কর্মহীন ছিলাম। যার জন্য ধারদেনা করে সংসার চালাতে হয়েছে। এছাড়া, নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে যে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল তাও ছিল অপ্রতুল। তবে নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে মাছ শিকারের গিয়ে ভালো মাছ পাওয়ার আশা করছি। কাক্সিক্ষত মাছ পেলেই আমাদের দেনার বোঝা কিছুটা হলেও কমবে।’

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে লালমোহন উপজেলা সামুদ্রিক মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান জানান, এবারের ২২দিনের নিষেধাজ্ঞায় উপজেলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ১১৯টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ৩৪টি মোবাইল কোর্ট বাস্তবায়ন হয়েছে। এই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৬১টি মামলায় ১৩৬ জন জেলেকে অবৈধ উপায়ে মাছ শিকারের দায়ে আটক করা হয়েছে। এরমধ্যে ৪১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড হয়েছে এবং ৯২ জন জেলের বিভিন্ন অঙ্কে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে। এ জরিমানার পরিমাণ ৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। অভিযানে ৩ লাখ মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে। এসব জাল আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে। এছাড়া জব্দকৃত ৪৩টি মাছ ধরা ট্রলার নিলাম দেওয়া হয়েছে। যার প্রাপ্ত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার কারণে আমরা এই সফলতা অর্জন করতে পেরেছি।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলী আহমদ আখন্দ বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে আমরা বিগত বছরের তুলনায় নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে এবার ব্যাপকভাবে সাফল্য অর্জন করেছি। যার ফলে মা ইলিশ প্রচুর পরিমাণে ডিম ছাড়তে পেরেছে। এতে করে এই উপজেলার জেলেরা তাদের কাক্সিক্ষত ইলিশ পাবেন বলে আমরা আশা করছি। এছাড়া, নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com