মহামারি করোনায় কাবা শরিফে দীর্ঘদিন ওমরাহ কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর এখন সবার নামাজের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। প্রতিদিন ৪ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী এ কাজে নিয়োজিত। প্রতিদিন স্প্রে করা হয় ১২০০ লিটার সুগন্ধি। খবর আল-আরাবিয়া আরবি।
প্রাণঘাতী বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে দীর্ঘ সাড়ে ৭ মাস ওমরাহ বন্ধ থাকার পর গত ৪ অক্টোবর থেকে প্রথম ধাপে সীমিত পরিসরে তা আবার শুরু হয়েছে। এখন চলছে দ্বিতীয় ধাপে ওমরাহ পালন। এ ধাপে ওমরাহকারীদের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১ নভেম্বর থেকে তৃতীয় ধাপে বর্হিবিশ্বের ওমরাহ পালনকারীদের গ্রহণে সৌদি আরব প্রস্তুত বলেও জানাগেছে।
বর্তমানে কাবা শরিফে সবার জন্য নামাজ পড়ার সুযোগ রয়েছে। স্বাভাবিক নিয়মে চলছে ওমরাহ কার্যক্রম। ওমরাহ পালনকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হারামাইন কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সচেতনার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লিদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে মসজিদের হারাম এলাকায় প্রতিদিন ১২০০ লিটার আতর স্প্রে করছে। পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে ৪ হাজার কর্মী।
হারামাইন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মসজিদে হারামে ওমরাহ আদায়ের লক্ষে আগত মুসল্লিদের আনাগোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে যে, মসজিদুল হারামের অভ্যন্তর, বহিরাংশ ও মাতআফসহ পুরো এলাকা পরিচ্ছন্নতায় এবং সুগন্ধি ছিটানোর কাজে ৪ হাজার কর্মী নিয়োজিত। বিশাল এই বহরে পুরুষের পাশাপাশি নারী পরিচ্ছন্নতাকর্মীও রয়েছে। বিশাল কর্মীবাহিনী পরিচালনায় ১৮০ জন সুপারভাইজার নিরলস তদারকির কাজ করে যাচ্ছেন। সুপারভাইজারদের দক্ষ পরিচালনায় তিন শিফটে ভাগ করে ২৪ ঘণ্টা এ সেবা অব্যাহত রাখা হয়েছে।
প্রতিদিন কাবা শরিফ তথা পুরো মসজিদে হারাম এলাকা রাত-দিন মিলিয়ে ১০ বার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার এ কাজে ডিজিটাল মেশিনে পরিবেশবান্দব, স্বাস্থ্যসম্মত উন্নত প্রযুক্তির ডিটারজেন্ট এবং জীবাণূনাশকও ব্যবহার করা হয়। সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে প্রতিদিন ১২ লিটার বিভিন্ন দামী ব্রাণ্ডের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি পবিত্র সুগন্ধি ছিটানো হয়।
উল্লেখ্য, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের পরিচালক জাবের ওদাআনি জানান- পুরো মসজিদে হারাম এলাকা ছাড়াও পবিত্র কাবা শরিফ, মাতআফ, রোকনে ইয়ামেনি, হাজরে আসওয়াদ, মুলতাজেম, হাতিমে কাবা, মাকামে ইবরাহিম, সাফা-মারওয়া পাহাড় সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় বিশেষ ব্যবস্থা জোরদার রয়েছে।