বিডি ঢাকা ডেস্ক
‘বঙ্গবন্ধুর সোনার দেশ-স্মার্ট পাট শিল্পের বাংলাদেশ’- এই প্রতিপাদ্যে বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় পাট দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালিটি বের করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন- ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক সরকারের উপসচিব দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) কে এম কাওছার হোসেন, নবাব গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর হোসেন, সাংবাদিক ডাবলু কুমার ঘোষ, পাটের বস্তা বিক্রেতা মো. সেলিম, পাটচাষি রমজান আলী। সভায় সূচনা বক্তব্য দেন- জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা অজিত কুমার রায়।
সভায় ভারত থেকে পাটবীজ আমদানি না করে দেশে উৎপাদিত পাটবীজ ক্রয় করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান পাটচাষিরা।
বস্তা বিক্রেতা মো. সেলিম তার বক্তব্যে জানান, পর্যাপ্ত পরিমাণ পাটের তৈরি বস্তা রয়েছে।
আকবর হোসেন তার বক্তব্যে জানান, মানসম্পন্ন পাটের তৈরি বস্তার ঘাটতি রয়েছে।
আলোচনাকালে পাটের উৎপাদন কমে আসার পেছনে পর্যাপ্ত জলাশয় না থাকা, ন্যায্যমূল্য না পাওয়াকে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন বক্তারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলিথিন ব্যবহার না করে পাটের ব্যাগ ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও বলেন, সকলের মধ্যে দেশপ্রেমের মোমবাতি জ্বালাতে হবে।
তিনি বলেন, একমাত্র ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার, চিনি, মরিচ, হলুদ, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ডাল, ধনিয়া, আলু, আটা, ময়দাসহ অন্যান্য পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। এই আইন ভঙ্গ করলে ১ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকার অর্থদ- বা উভয় দ-ের বিধান রয়েছে। একই অপরাধ পুনরায় ঘটালে সর্বোচ্চ দণ্ডের দ্বিগুণ দণ্ডের বিধান রয়েছে।