বিডি ঢাকা ডেস্ক
সখীপুরে বিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.জামাল মিয়া ও তার ছেলে আলমগীর হোসেন চাঁনকে ঘন্টা ব্যাপী ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে ভুক্তভোগীরা। আজ (১৫ মে) বুধবার সকাল ১২ টা থেকে ১টা পর্যন্ত ৬০ জন ভুক্তভোগী ইউনিয়ন পরিষদে এসে এ ঘটনা ঘটায়।
এ ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ওই অবরুদ্ধ চেয়ারম্যান ও তার ছেলেকে উদ্ধার করেন।
এর আগে একই অভিযোগে সম্প্রতি ১০ ইউপি সদস্য ওই চেয়ারম্যানকে অনাস্থা দেয়।ভুক্তভোগীরা জানান, ইউনিয়ন পরিষদে আসার পর চেয়ারম্যান তার লোকজন উল্টো ভয় ভীতি প্রদর্শন করেন। এতে পাওনাদাররা ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যানের ছেলেকে অফিসে তালাবদ্ধ করে রাখে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী অত্র ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সাকিব বলেন, বিদেশে পাঠানোর কথা বলে চেয়ারম্যান তার ছেলে আমার কাছ থেকে পাসপোর্ট ও এক লক্ষ টাকা নিয়েছে। বিদেশেও পাঠাচ্ছেন না টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। বারবার শুধু আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন।
একই গ্রামের আব্দুল আলিম বলেন, একই কৌশলে আমার কাছ থেকে ৭২ হাজার টাকা নিয়েছেন। পাসপোর্ট ফেরত দিচ্ছেন না টাকাও দিচ্ছেন না ।আজ সকল পাওনাদারদের টাকা ও পাসপোর্ট ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। টাকা ফেরত না দিয়ে চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী ছেলের ভাড়া করা সন্ত্রাস ও গুন্ডা বাহিনী দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
চেয়ারম্যান ছেলে অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন চান বলেন, আমি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই মিথ্যে বানোয়াট অভিযোগ আমার এবং বিরুদ্ধে আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যান ও তার ছেলে অফিসে তালাবদ্ধ ঘটনার কথা শুনে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে । পরে তালা খুলে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হোসেন পাটওয়ারী বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।