বিডি ঢাকা ডেস্ক
ঝিনাইদহ ৪৮ কিলোমিটার সড়কের ১০০ মিটার রাস্তায় ধ্বস সৃষ্টি হয়েছে। সর্বশেষ ধ্বস ঠোকাতে ১০০মিটার রাস্তার সংস্কার ব্যয় হয়েছে ৩২ লাখ টাকা। তারপরও ধ্বস ঠেকানো যাচ্ছে না। গত দেড়বছরে ভাঙলো ৩বার। ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর-যাদবপুর ভায়া জিন্নানগর সড়কটির এক পাশ ভেঙ্গে গেছে। চলে যাচ্ছে কপোতাক্ষ নদে। ফলে জনসাধারন চলাচল করছে মারাত্বক ঝুকি নিয়ে। বড়বড় যানবাহনগুলো ঝুকি এড়িয়ে শহরের ভিতর দিয়ে যেতে হচ্ছে বাধ্য হয়ে। আর ছোট ছোট যানবাহনগুলো ভাঙ্গনের পাশ দিয়ে ঝুকি নিয়েই চলাচল করছে।সরেজমিন দেখা গেছে, কপোতাক্ষ নদের ধার ঘেষে যাওয়া খালিশপুর-যাদবপুর ভায়া জিন্নানগর সড়ক। সড়কটির ভাঙ্গন ঠেকাতে মাত্র তিন মাস পূর্বে ব্যয় করা হয়েছে ৩২ লাখ টাকা। যা কোনো কাজেই আসেনি। চলতি সপ্তাহের বৃষ্ঠিতে আবারো ধসে পড়েছে সড়কটি। এরও এক বছর পূর্বে প্যালাসাইটিং বসিয়ে আরেক দফা চেষ্টা করা হয়েছিল, সেটাও কোনো কাজে আসেনি। বছর যেতে না যেতেই আবরো ধ্বস নামে সড়কটিতে।স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মহেশপুর উপজেলার মানুষের চলচলের জন্য প্রধান সড়ক হিসেবে কালীগঞ্জ-জীবননগর সড়কের খালিশপুর থেকে চলাচলের এটি একমাত্র সড়কটি। এটি খালিশপুর থেকে কপোতাক্ষ নদের ধার দিয়ে মহেশপুর শহর পেরিয়ে দত্তনগর হয়ে জীন্নানগর পেরিয়ে যাদবপুর গেছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৩৯ কোটি টাকা ব্যায়ে ওই সড়কটির সাড়ে ৪৮ কিলোমিটার সংষ্কার কাজ করা হয়। যার মহেশপুর শহরের কিছু রয়েছে কপোতাক্ষ নদ এর ধার ঘেষে। এই সংষ্কারের পর মহেশপুরবাসি ভালোভাবে চলাচল করে আসছিলেন।২০২৩ সালের শেষ দিকে সড়কটির মহেশপুর শহরের মহেশপুর পৌরসভা ভবনের পাশে কপোতাক্ষ নদ এর ধারে ধস দেখা দেয়। ওই স্থানের ১০০ মিটার জায়গার পিচ-পাথর বসে যেতে শুরু করে। এরপর দেখা দেয় ভাঙ্গন। অল্পদিনের মধ্যে সড়কটির পাস ধসে কপোতাক্ষ নদ এর মধ্যে চলে যায়। সংষ্কার কাজ হয় কিন্তু তার মান সঠিক থাকে না। যে কারনে ২/৪ মাস যেতে না যেতেই ভেঙ্গে যায় গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি। ভাঙ্গন অবস্থায় তারা ঝুকি নিয়ে চলাচল করছেন। এরপর সড়ক বিভাগ থেকে একদফা সংষ্কার করা হয়। কিন্তু সেটা বেশি দিন টেকেনি। সংষ্কার কাজের ৮ থেকে ৯ মাস পরই আবারো ধস দেখা দেয়। এই অবস্থায় চলতি বছরের জুন মাসের দিকে দ্বিতীয় দফা সংষ্কার কাজ করেন। এবার মাত্র তিন মাস যেতে না যেতেই গত দুই সপ্তাহ হলো তৃতীয় দফা ধস নেমেছে। এবার সড়কটির অর্ধেক অংশের বেশি নদ এর মধ্যে চলে গেছে। কর্তৃপক্ষ এক সপ্তাহ হলো বালি দিয়ে গর্ত ভরাটের চেষ্টা করেছেন। সেটাও হয়নি, ইতিমধ্যে বালিও বসে গেছে।ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আহসান উল কবীর জানান, দুই বছর পূর্বে নদী খননের সময় তলদেশ থেকে মাটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এখন তারা যেভাবেই চেষ্টা করুন না কেন কোনো কাজে আসছে না। বিষয়টি তারাও ভাবছেন। তারা এবার শক্ত ভাবে বাঁধ দিয়ে সড়ক সংষ্কার করবেন বলে তিনি জানান।