বিডি ঢাকা ডেস্ক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাটবাজারে আলু ও দেশী মুরগির দাম বেড়েই চলেছে। অন্যদিকে শীতের সবজিতে বাজার ভরপুর থাকলেও দাম কমছে না। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে পেঁয়াজের কেজি ২০ টাকা কমেছে। এছাড়া
চাল, ডাল, আটা, সবজি, মাছ ও সয়াবিনের দাম গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
পুরাতন বাজারে কয়েকজন আলু ব্যবসায়ি জানান, রাজশাহী থেকে আনা আলু প্রতি কেজি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৬৭ টাকা ৭০ পয়সায়। অন্যদিকে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা। ভারতীয় আলু বিক্রি হচ্ছে খুচরা ৬৬ টাকা। সয়াবিনের দামও বাড়তি। দেশী মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫শ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতিকেজি ১০৫-১১০ টাকা থেকে কমে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকা এবং দেশী পেঁয়াজ ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৪৮ টাকায়।
শুক্রবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাশহরের পুরাতন বাজার ও নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়াম মার্কেটে আনোয়ার অটো রাইস মিলের শো-রুমের ম্যানেজার কাওসার আলী রুবেল জানান, ২৮ চাল গত সপ্তাহের মতই প্রতিকেজি ৬৬ টাকা, জিরাসাইল ১ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৭১ টাকা, নাজির সাইল ২ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮২ টাকা ও আতপ চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১৬ টাকা কেজি দরে।
মুদি দোকানদার আব্দুর রহমান জানান, প্রতি কেজি ২৮ চাল ৬২ টাকা থেকে ৬৫ টাকা, জিরাসাইল ৭৫ টাকা, চিকন স্বর্ণা ৬০ টাকা, মোটা স্বর্ণ ৫০ টাকা, আতপ চাল ১১৫ টাকা থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, মসুর ডাল ১২৫-১৩০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০-১২০ টাকা, দেশী ছোলার ডালের দাম বেড়ে ১৪০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, খেসাড়ির ডাল ১০০-১১০ টাকা, মটর ডাল ১২৫-১৩০ টাকা, মাসকলাইয়ের ডাল ২০০-২১০ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে প্রতিকেজি চিনি ১২৮ থেকে ১৩০ টাকা, খোলা আটা ৪২ টাকা, প্যাকেট আটা ৪৫-৫০ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন ১৭৫ টাকা লিটার, খোলা সয়াবিন ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতারা জানান, শীতের সবজি বাজারে আসলেও দাম গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে। ঘিয়ন বেগন ৯০-১০০ টাকা, সাধারণ বেগুন ৬০-৭০ টাকা, ছিছিঙ্গা ৫০ টাকা, ফুলকপি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, পাতা কপি ৫০ টাকা, শিম ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, পটল ৪০-৪৫ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৫০ টাকা, দেশী করলা ১০০-১২০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা। হল্যান্ড আলু ৭৫ টাকা এবং দেশী আলু ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, শসা ৭০-৮০ টাকা, টমেটো ১৫০-১৬০ টাকা থেকে টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কুমড়াজালি ও লাউ প্রতি পিস ৪০-৪৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাছ বিক্রেতারা জানান, পাবতা ৩২০-৪০০টাকা, ছোট সিং ৪০০-১০০০ টাকা, কৈ ২৫০ টাকা, পিয়লি ৪৮০ টাকা, পাঙ্গাস ১৬৫ টাকা, রুই ওজন ভেদে ২৩০-৪৫০ টাকা, কাতল ও প্রায় একই দাম, সিলভর কার্প ১৫০ টাকা, ব্রিগেড ১৫০-১৬০ টাকা, বোয়াল ওজন ভেদে ৮০০ টাকা থেকে ১৩৫০ টাকা, আইড় ৮০০ টাকা থেকে ১৮০০ টাকা, বাইন ১০০০ টাকা, চিংড়ি ৮৫০ টাকা, সবজি চিংড়ি ১০০০ টাকা, বাঁশট ৯০০ টাকা, গ্রাস কার্প ২৬০ টাকা, খরি ৬০০ টাকা, সোল ৭০০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুরগি বিক্রেতা শরিফুল ও আলমসহ অন্যরা জানান, দেশী মুরগির দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৮০ টাকা, প্যারেন্স ৩১০-৩৫০ টাকা, সোনালি ২৭০-২৮০ টাকা, লাল লিয়ার ৩২০-৩৩০ টাকা।
অন্যদিকে মাংস বিক্রেতা সেলিম জানান, ভালো মানের গরুর মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।