বিডি ঢাকা ডেস্ক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাটবাজারে চালের দাম একটু একটু করে বেড়েই চলেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি বেড়েছে ১ থেকে ২ টাকা। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। তবে আলু, পেঁয়াজ ও সবজির দাম কিছুটা কমেছে। এছাড়া ডাল, আটা, মাছ-মাংস, গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে।
শুক্রবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাশহরের নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়াম মার্কেটে আনোয়ার অটোরাইস মিলের শোরুমের ম্যানেজার কাওসার আলী রুবেল জানান, আঠাশ চাল প্রতি কেজি ২টা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকা, মিনিকেট ২টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৬, নাজিরশাইল ১ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮৫, পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা।
মুদি দোকানদার আব্দুর রহমান বাবু জানান, প্রতি কেজি আঠাশ চাল দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, মিনিকেড ৭৫ টাকা, বাসমতি ১০৫ টাকা, স্বর্ণা ৫০ টাকা,চিকন স্বর্ণা ৫৭ টাকা, আতপ চাল ১১৫ টাকা থেকে ১২০ টাকা, চিকন মসুর ডাল ১২৫-১৩০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০-১২০ টাকা, দেশী ছোলার ডালের দাম ১৫০ টাকা, খেসাড়ির ডাল ১০০-১১০ টাকা, মটর ডাল ১২৫-১৩০ টাকা, মাসকলাইয়ের ডাল ১৮৫ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতি কেজি চিনি ১২৮ থেকে ১৩০ টাকা, খোলা আটা ৩৮-৪০ টাকা, প্যাকেট আটা ৪৫-৫০ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন ১৬৭ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা লিটার, খোলা সয়াবিন ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি, ভারতীয় ও দেশী নতুন পেঁয়াজ ৭০ টাকা ও দেশী পুরাতন পেঁয়াজ ১৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। প্রতিহালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়।
সবজি বিক্রেতা আব্দুর রশিদ জানান, শীতের সবজি বাজারে সরবরাহ বাড়ার কারণে দাম কিছুটা কমেছে। ঘিওন বেগুন ৬০ টাকা টাকা, ইরি বেগুন ৫০ টাকা, মুলা ৩০-৩৫ টাকা, নতুন আলু ৭৫-৯০ টাকা, কলা ৫০ টাকা পটোল ৪০ টাকা, পেঁপে ৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০, টমেটো ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, দেশী করলা শিম ৪০ টাকা, বরবটি ৬০-১৬০ টাকা, ফুলকপি ৩৫-৪০ টাকা, পাতাকপি ৩০-৩৫ টাকা, কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাউ প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
এদিকে মাছ বিক্রেতারা জানান, পুঁটি ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা, আইড় সাইজ ভেদে ৪০০-১৩০০ টাকা, সিং মাছ ৪০০ টাকা, নদীর আঙ্গুল সাইজের চিংড়ি ১০০০ টাকা, একটু বড় সাইজের নদীর চিংড়ি ২০০০টাকা, বাগদা চিংড়ি ৮০০ টাকা, সিলভারকার্প ২০০ টাকা, জাপানি রুই ২৪০ টাকা-৩০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ টাকা, ছোট রুই ২৪০ টাকা, ছোট মিড়কা ২২০ টাকা, ব্রিগহেড ২০০ টাকা, বড় রুই ৩০০-৪৬০ টাকা, বড় কাতল ৪৬০ টাকা, ইলিশ ৮০০-২০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মুরগি বিক্রেতা শরিফুল ও জিলহাজ জানান, গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে। শুক্রবার দেশী মুরগি বিক্রি হয়েছে ৪৬০-৪৭০ টাকা, সোনালি বা পাকিস্তানি ২৬০-২৭০ টাকা, লাল লেয়ার ২৯০-৩০০ টাকা এবং ব্রয়লার ১৭০-১৮০ টাকা, প্যারেন্সের বাজার ২৮০-২৯০ টাকা কেজি দরে।
অন্যদিকে মাংস বিক্রেতা সেলিম জানান, ভালো মানের গরুর মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।