শনিবার (২০ আগস্ট) বিকালে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে জন্মাষ্টমী উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যে সরকারই থাক না কেন ভারতের পূর্বসূরীরা এ দেশের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্বের জন্য এককভাবে কাজ করেছেন।
বাংলাদেশে শুধু হিন্দু সম্প্রদায় নয়, সব বাঙালী জন্মাষ্টমী উৎসবে অংশগ্রহণ করায় অভিভূত হয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে সব বিশ্বাসের মানুষ যে উৎসবই হোক না কেন তাতে যোগ দেয়, তার রঙ ভারত পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। বাংলাদেশ ও ভারতের ঐতিহ্যগুলো আমাদের দুই দেশের সংযোগের মূল।
‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে দোরাইস্বামী বলেন, এমন মূল্যবোধ ১৯৭১ সালের যুদ্ধের উৎসাহ দিয়েছিল এবং তার ভিত্তিতেই চমৎকার, অন্তর্ভূক্তিমূলক ও প্রগতিশীল সংবিধান রচনা করা হয়েছিল বাংলাদেশে। এ চেতনা বাংলাদেশ ও বিশ্বে দীর্ঘস্থায়ী হোক বলে প্রার্থনা করেন তিনি।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব একে অপরের প্রতি সন্মান এবং অভিন্ন স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে। দুই পক্ষ থেকে জনগণের কল্যাণের জন্য যতগুলো পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তা দুই দেশের অংশীদারত্বকে আরও গভীর করে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ-ভারত একা কোনো উন্নতি করতে পারবে না। আন্ত:সংযুক্ত উপ-অঞ্চল, নিরাপদ পরিবেশ, স্থীতিশীলতা এবং শান্তি বজায় রাখতে আমাদের একে অপরের সহযোগিতা প্রয়োজন। সব দেশের সমান সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।