নিজস্ব সংবাদদাতা : সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত। শুক্রবার (১৪ মে) সকালে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
সকালে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায়। প্রথম ও প্রধান জামাতসহ সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত ২য় জামাতেও একই চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিন দেখা যায়, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রবেশ পথেই রয়েছে জীবানুনাশক কক্ষ। তার মধ্য দিয়েই প্রবেশ করছেন মুসল্লিরা। এখান থেকে জীবাণুনাশক স্প্রে করে দেওয়া হচ্ছে তাদের শরীরে। এছাড়া যাদের মাস্ক নেই তাদের মাস্ক বিতরণ করতে দেখা গেছে। এরপরই রয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা। মসজিদ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নামাজের জন্য আসা সব মুসল্লিকেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে। এরপর নিজস্ব জায়নামাজ নিয়ে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেই ঈদের নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।
নামাজের শুরুতে এবং নামাযের পরে ও খুতবা অংশে বিভিন্ন সময় মসজিদের মাইকে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনার ঘোষণা দেওয়া হয়। এছাড়া ঈদের নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো ছিল না এবং মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপিও ব্যবহার করা হয়নি।
করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আল-আমিনের দরবারে দোয়াও করা হয়েছে। এবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমটি সকাল ৭টায়, দ্বিতীয় জামাত ৮টায়, তৃতীয়টি সকাল ৯টা, চতুর্থ জামাত হবে সকাল ১০টায়। সর্বশেষ ঈদ জামাতটি হবে বেলা পৌনে ১১টায়।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের প্রধান খাদেম মো. শহিদ উল্যাহ জানান, আমরা সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। মসজিদের সাততলা থেকে শুরু করে নিচতলা পর্যন্ত জীবাণুনাশক দেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে সরকার নির্দেশিত সব নির্দেশনা মেনেই অনুষ্ঠিত হবে ঈদের নামাজ।
গত ২৬ এপ্রিল ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, করোনার কারণে এবারো ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত আদায় করা যাবে না। মসজিদে পড়তে হবে ঈদের নামাজ।
একই সঙ্গে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে অনুরোধ জানিয়েছে সরকার। এদিকে নির্দেশনা অনুসরণ করে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মসজিদের ইমাম-খতিব, মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটি, ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন।