বিডি ঢাকা ডেস্ক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ (সচিব পদমর্যাদা) মহোদয়ের সঙ্গে জেলার সাংস্কৃতিক সংগঠক ও সংস্কৃতিকর্মীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে অুনষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন-শিল্পকলা একাডেমিকে জনবান্ধব করতে হবে, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে গণমুখি করতে হবে,আপনাদের তরফ থেকে শিল্পকর্ম যদি গণমুখি, জনবান্ধব হয়, শিল্প চর্চা যদি মানুষের কথা বলে তাহলে কোনো সমস্যা হবার কথা নয়।
শিল্পকলা একাডেমির মহপরিচালক বলেন-ঢাকায় মহিলা সমিতি মঞ্চে আমরা যখন নাটক করতাম তখন সেলিম আল দীনের কির্তন খোলা নাটক করেছি ভাঙ্গ মঞ্চে। কাজেই মঞ্চ কোনো বিষয় নয়, আপনারা ভালোভাবে শিখুন, দক্ষতা অর্জন করুন। ৭০, ৮০ কিংবা ৯০ এর দশকে তোকে ভর্তুকি লাগত না। এখন কেন লাগে। এসময় তো নিরাপত্তার দরকার হতো না, এখন কেন হচ্ছে। কারণ মানুষের কথা বলা হয় না। তাই মানুষের কথা বলতে হবে। সব ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে হবে।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সূচনা বক্তব্য দেন জেলা কালচারাল অফিসার মো. শাহাদৎ হোসেন।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন, গম্ভীরার নানা খ্যাত মাহবুব আলম, সংগীত শিল্পী সাদরুল ইসলাম তাজ, আলকাপের জয়রাম পাল, লুৎফর রহমানসহ অন্যরা। মাহবুব আলম তার বক্তব্যে জেলায় গম্ভীরা একাডেমি স্থাপনের দাবি জানান। কেউবা মঞ্চ সংস্কার, মঞ্চে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করাসহ জেলার লোক সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহাপরিচালককে অনুরোধ জানান। প্রেক্ষিতে মহাপরিচালক বলেন-আমি এইসব দেখার জন্যই এসেছি। কিন্তু আমাদের টাকা নেই। আমি টাকা চেয়েছি। সরকারের মূল বাজের দশমিক ৫ ভাগ টাকা হলেও আমরা সারাদেশে শিল্পকলা একাডেমিগুলোকে টাকা দিতে পারব।
এসময় জেলা প্রশাসনের জেরাত ডেপুটি কালেক্টর-এনডিসি মীর আল মনসুর শোয়াইব, সহকারী কমিশনার অনুজ চন্দ উপস্থিত ছিলেন।