নিজস্ব সংবাদদাতা : অবশেষে কারামুক্ত হলেন ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল। গত মার্চে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর তিন থানায় মামলা দায়েরের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। ৫৩ দিন পর অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় সীমান্ত থেকে গ্রেফতার হন। অনুপ্রবেশের মামলায় পরদিনই জামিন পেলেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের তিন মামলায় তিনি কারাগারে আটক ছিলেন। নিম্ন আদালতে জামিন পেতে ব্যর্থ হয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে সাড়ে সাত মাস পর কারামুক্ত হলেন কাজল।শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান শফিকুল ইসলাম কাজল। কারাফটকে পরিবারের সদস্যসহ স্বজনরা তাকে বরণ করেন। সাংবাদিক কাজলের ছেলে মনোরম পলক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে সাংবাদিক কাজলের আইনজীবী জায়েদুর রহমান ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় কাজলের জামিননামা জমা দেন।গত ৯ মার্চ রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম মামলাটি করেন মাগুরা-১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শেখর। এরপর ১০ ও ১১ মার্চ রাজধানী হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা আরও দু’টি মামলায় আসামি করা হয় কাজলকে।
এর মধ্যে গত ১০ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুলের পক্ষকাল অফিস থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন শফিকুল ইসলাম কাজল। তাকে অপহরণ করা হয়েছে অভিযোগ এনে ১৮ মার্চ রাতে চকবাজার থানায় মামলা করেন তার ছেলে মনোরম পলক। নিখোঁজের ৫৩ দিন পর গত ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্ত সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে কাজলকে আটক করে বিজিবি। এরপর থেকে কাজল কারাগারে আটক ছিলেন।
কাজলকে বিজিবি আটক করার পর বেনাপোল থানায় অনুপ্রবেশের মামলা করা হয়। ৩ মে সেই মামলায় জামিন পান তিনি। তবে ঢাকায় দায়ের করা তিন মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে আটক রাখা হয়। এসব মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করলেও তা নামঞ্জুর করেছিলেন আদালত। পরে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
সাংবাদিক কাজলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ১৯ অক্টোবর রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। পরে গত ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ দুই মামলায় কাজলকে জামিনের আদেশ দেন। এর আগে, রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা আরেক মামলায় গত ২৪ নভেম্বর কাজল জামিন পান হাইকোর্ট থেকে।