বিডি ঢাকা ডট কম নিউজঃ সারা দেশের ন্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জেও জ¦ালানী সংকটের কারনে লোড শেডিং সিডিউল মোতাবেক করার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছেনা।বিতরন বিভাগগুলো বিদ্যুৎ সরবরাহ কম পাবার অজহাতে আবার কখনো কেন্দ্র থেকে সরবরাহ বন্ধ কওে দেয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।তাদেও দাবী সরাবরাহ চাহিদার অর্ধেকেরও কম হওয়ায় এ অচলাবস্তা।
জানা গেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চাঁপাইনবাবগঞ্জে দরকার ৭৭ মেগাওয়াট কিন্তু সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে ৩৪ মেগাওয়াট।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত কওে জানান, অর্ধেকের কম বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়ায় সিডিউল মোতাবেক এক ঘন্টা লোডসেডিং হবার কথা থাকলেও তা মেলানো যাচ্ছেনা।এতে করে কোন কোন এলাকায় ২ ঘন্টা করে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
অপরদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নেসকো বিদুৎ সরবরাহ কোম্পানী ঘটা করে সিডিউল সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করলেও তা মানছেনা। প্রতিদিন ২ বার ২ ঘন্টার লোডসেডিং এর ঘোষণা দিয়েও তারা তা মানছেনা।জেলার শিবগঞ্জ, সদর,নাচোল ও গোমস্তাপুর উপজেলায় ২ টি বিভাগে তাদেও গ্রাহকদেও দিনের বেলায় চাহিদা ৩৬ মেগাওয়াট।কিন্তু মঙ্গললবার বিকেল পর্যন্ত নেসকো সরবরাহ পেয়েছে ১৬ মেগাওয়াট।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার টাউন সার্ভিসের আওতায় শহরের সিডিউল মোতাবেক সকাল ১১ টায় এক ঘন্টার জন্য একবার লোডসেডিং হবার কথা থাকলেও সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্ঙন্ত ৩ বারে সাড়ে ৩ ঘন্টা লোড সেডিং করেছে।এতে কওে ভোগান্তিতে পড়েছে জনসাধারন।
মহিলা কলেজের প্রভাষক মো: রুহুল আমিন ক্ষোভের সাথে জানান, ঘটা করে সিডিউল জনসম্মুখে দেয়ার পরও একাধারে ২-৩ ঘন্টা কওে লোডশেডিং মেনে নেয়া যায়না।
নেসকো বিদ্যুৎ সরবারাহ ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আলিউল আজিম জানান, তিনি চাহিদার অর্ধেকেরও কম বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়ায় লোডসেডিং বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন।তিনি আরও জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ২ টি ডিভিশনের মধ্যে চাহিদা ২৪ মেগাওয়াট থাকলেও পাচ্ছেন ১০ এবং অপর ডিভিশনে চাহিদা ১২ হলেও পাওয়া যাচ্ছে ৬ মেগাওয়াট।এতে কওে সিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে।ভোগান্তির ব্যাপাওে তিনি জানান, সরবার অর্ধেকের কম হওয়ায় জেলার অর্ধেক গ্রাহক ২৪ ঘন্টায় গড়ে ১২ ঘন্টা করে লোডসেডিং এর আওতায় থাকাটায় স্বাভাবিক।