বিডি ঢাকা অনলাইন ডেস্ক
সিরাজগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত আন্তঃজেলার ৬ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ছুরিসহ উদ্ধার করা হয়েছে যাত্রীদের লুন্ঠিত ১৭টি মোবাইল।
গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাতদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা আছে এবং এদের ৫জন মানিকগঞ্জ ও ১জন ফরিদপুর জেলার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত করেছেন, সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল।
বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপার এক সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যমকে জানান, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাত্রি অনুমান ৮ ঘটিকার দিকে ন্যাশনাল ট্রাভেলস এর একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা মহাখালী হতে যাত্রী নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
পথিমধ্যে বাইপাইল হতে ৬ জন যাত্রী (টিকিট ব্যতীত) জনপ্রতি ২৫০ টাকা ভাড়ায় হাটিকুমরুল গোলচত্বরে যাওয়ার জন্য বাসে উঠে। বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পরপরই যাত্রীবেশী অজ্ঞাতনামা ৬ ডাকাত বাসের চালককে ছুরিকাঘাত করে বাসটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং হেলপার, সুপারভাইজার ও বাসের যাত্রীদের মারপিট ও হত্যার হুমকী প্রদান করে তাদেরকে জিম্মি করে।
অতঃপর ডাকাতরা বাসে থাকা যাত্রীদের নিকট হতে ১৭টি মোবাইল ফোন ও নগদ ২লাখ ১৫ হাজার টাকা লুণ্ঠন করে। এরপর বাসটি প্রথমে বগুড়ার দিকে যায় এবং সলঙ্গা থানাধীন ঘুরকা এলাকা থেকে ইউটার্ন করে সিরাজগঞ্জ রোডের দিকে চলে আসে। হাটিকুমরুল গোলচত্বরে হাইওয়ে পুলিশের একটি দল বাসটিকে থামানোর চেষ্টা করলে ডাকাতরা পুলিশের বেরিকেট উপেক্ষা করে দ্রুত গতিতে গাড়ী চালিয়ে পাবনা জেলার পথে রওনা হয়।
একসময় রাত্রি অনুমান ৩ টার দিকে বাসটি উল্লাপাড়া রেলগেইটের নিকট পৌঁছালে ট্রেনের সিগনাল পড়ায় রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে ডাকাতরা সেখানে বাসটি রেখে পালিয়ে যায়। পরে উল্লাপাড়া মডেল থানায় ৩ অক্টোবর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে একটি ডাকাতি মামলা করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আঃন্তজেলা ডাকাতরা হলেন, মানিকগঞ্জের আলমগীর শেখ (৩২), শরিফ মোল্লা (২৩), জাহিদ মোল্লা (৪০), সাইফুল ইসলাম (২২), ফরিদপুর জেলার সাদেক মাতব্বর সানি (৩০) ও ঢাকা জেলার রাজিব হোসেন (২৩)।
পুলিশ সুপার আরও জানান, ডিবি পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমে গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য এবং দেশের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি করাই তাদের পেশা। দ্রুতই তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..