নিজস্ব সংবাদদাতা : আপন দুই ছোট ভাইয়ের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল সে কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘তোমাদের মাঝে যখন আসি মনে হয় আমিও তোমাদের পরিবারেই একজন। তোমাদের প্রতি আমার সবসময় দোয়া থাকবে, আর্শীবাদ থাকবে।’বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি রাষ্ট্রপতির কুচকাওয়াজ-২০২০ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম ভাটিয়ারী বিএমএ প্রান্তে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদসহ প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।১৫ আগস্ট কালরাতে পিতামাতা ও ভাইসহ পরিবারের সদস্যদের হারানোর স্মৃতিচারণ করেন। তিনি ছোট দুই ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল সেনাবাহিনীর সদস্য ছিল সেকথাও স্মরণ করেন।তিনি বলেন, ‘আমার ছোট ভাইটা। মাত্র ১০ বছর বয়স। তার জীবনের একটা স্বপ্নই ছিল সে সেনাবাহিনীর অফিসার হবে। কিন্তু সে স্বপ্ন আর পূরণ হতে পারেনি। ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে আমার বাবা রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ আমার মা, তিন ভাইসহ কামাল-জামালের নবপরিণীতা বধূদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। কাজেই তাদের স্বপ্নটা অধরাই থেকে গেল। সেই ছোট্ট রাসেল আর সেনা অফিসার হতে পারল না।’
‘তোমাদের মাঝে যখন আসি, মনে হয় আমিও তোমাদের পরিবারেরই একজন। কাজেই তোমাদের প্রতি আমার সবসময় দোয়া থাকবে আর্শীবাদ থাকবে এবং তোমরা দেশকে ভালবাসবে, মানুষকে ভালবাসবে, মানুষের জন্য কর্তব্য পালন করবে। যেন এই দেশ এগিয়ে যেতে পারে, ভবিষ্যতে এই দেশ আরও উন্নত সমৃদ্ধ হতে পারে। সেভাবেই তোমরা কাজ করবে, সেটাই আমরা চাই।’সকল অভিভাবকদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘আপনাদের সন্তানকে দেশ সেবায় অপর্ণ করেছেন এবং তারা আজকে উপযুক্ত অফিসার হিসাবে প্রশিক্ষণ পেয়ে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন। কাজেই গর্বিত পিতামাতা হিসাবে আপনারাও তাদেরকে দোয়া করবেন এবং আপনারাও দেশের জন্য কাজ করবেন।’প্রশিক্ষণে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল এবং সাফল্যের জন্য পদকপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান।সেনাবাহিনীর বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির সুনাম সমৃদ্ধি মর্যাদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধির জন্যও দোয়া কামনা করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সমাপনী বক্তব্য রাখেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। তিনি বলেন, ’আপনার দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য নবীন অফিসারদেরকে দেশপ্রেম এবং আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ করবে এবং আপনার অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য তাদেরকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার উল্লেখ্যযোগ্য অবদান রাখবে বলে বিশ্বাস করি।’