অনলাইন নিউজ : স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় দেশের বিভিন্নস্থানে ডায়রিয়া, সাপের কামড়, পানিতে ডুবে, ভূমিধসে এবং নানা আঘাতজনিত কারণে এ পর্যন্ত অন্তত ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট বিভাগে ১৮ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে মারা গেছেন ১৫ জন। আর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৭৯ জন।
মঙ্গলবার (২১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৭ মে থেকে ২১ জুন পর্যন্ত বন্যায় রংপুর বিভাগে তিন জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫ জন এবং সিলেট বিভাগে ১৮ জনসহ মোট ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বজ্রপাতে ১২ জন, সাপের কামড়ে একজন, বন্যার পানিতে ডুবে ১৭ জন এবং অন্যান্য কারণে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আর জেলাভিত্তিক মারা যাওয়া তালিকার শীর্ষে রয়েছে সিলেট। ১৭ মে থেকে ২১ জুনের মধ্যে সিলেট জেলায় ১০ জন, সুনামগঞ্জে পাঁচজন, ময়মনসিংহে পাঁচজন, নেত্রকোনায় চারজন, জামালপুরে তিনজন, শেরপুরে তিনজন, মৌলভীবাজারে তিনজন, কুড়িগ্রামে দুইজন এবং লালমনিরহাটে একজন মারা গেছেন। আর এই সময়ে দেশের ময়মনসিংহ, সিলেট, রংপুর এবং চট্রগ্রাম অর্থাৎ এই চার বিভাগে বন্যাকবলিত হয়ে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯৩৪ জন। এর মধ্যে ১৭ জুন থেকে ২০ জুনের মধ্যে ডায়রিয়ায় ২ হাজার ১৭৯ জন, আরটিআইতে ৮৭ জন, বজ্রপাতে ১৩ জন, সাপের কামড়ে ৪ জন, পানিতে ডোবায় ১৯ জন, চর্মরোগে ১৪০ জন, চোখের প্রদাহে ৪৬ জন, নানা আঘাতে ২৫ ও অন্যান্য সমস্যায় পড়েছেন ৪৪২ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতিতে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩১৫ জন, আরটিআইতে ১১, সাপের কামড়ে ৩ জন, পানিতে ডুবে ৩ জন, চর্মরোগে ২২ জন, চোখের প্রদাহে ১৮ ও অন্যান্যভাবে আঘাত পেয়েছেন ১০ জন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বন্যা কবলিত চার বিভাগের ১৮৫টি উপজেলার মধ্যে ৬১টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। আর চার বিভাগে মোট এক হাজার ৯৭৬ টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
এ জাতীয় আরো খবর..