এসএম রুবেল : চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার কালিতলায় কলেজ পড়ুয়া শম্পা ও স্বর্ণা নামের জমজ দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের বয়স ১৭ বছর। তাদের একজন আজ মঙ্গলবার সকালে ও আরেকজন দুপুরের দিকে মারা যান। এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে, বাজার থেকে কিনে আনা মোগলাই পরোটা খেয়ে অসুস্থ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। মৃত শম্পা ও স্বর্ণা চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কালিতলা মহল্লার বাসিন্দা ও রবি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী রবিউল ইসলামের মেয়ে। শম্পা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ ও স্বর্ণা চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহিলা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে মোগলাই পরোটা খেয়ে ফুড পয়জনিংয়ের ফলে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে কিনা সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি। তদন্ত সাপেক্ষে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও জানান, তাদের মৃত্যুর কারণ নিয়ে দুই ধরণের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সকালের দিকে প্রথমে করোনা আক্রান্ত হয়ে তাদের এক বোনের মৃত্যু হয় বলে শহরজুড়ে প্রচার হতে থাকে। আবার হোটেল থেকে কিনে আনা মোগলাই পরোটা খেয়ে মৃত্য হয়েছে বলেও শোনা যেতে থাকে। এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত মিন্টু রহমান বলেন, ঘটনা সম্পর্কে মাত্রই জানলাম। কেউ কোন হোটেলের বিরুদ্ধে বা মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশকে অভিযোগ করেনি। মোগলাই পরোটা খেয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু না অন্য কোন কারণে জানার জন্য নিহতদের পরিবার বা আত্মীয়-স্বজনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা জানিয়েছেন, মৃত্যুর বিষয়টি স্বাভাবিক। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ নেই। সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিহত শম্পা ও স্বর্ণার এক আত্মীয় প্রবাস থেকে এ প্রতিবেদককে জানান, আমরা শুনেছি, রবিউল ইসলাম বাড়ির জন্য বাজারের শাহজাহান হোটেল থেকে মোগলাই পরোটা কিনে নিয়ে আসেন। তিনিসহ পরিবারের সকলে সেগুলো খেয়ে সবাই নিজের ঘরে চলে যান। এরপর একে একে পরিবারের ৪ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে রবিউল ইসলাম সুস্থ আছেন। এ বিষয়ে শাহজাহান হোটেলের মালিক জামাল উদ্দিন নাসের বলেন, দোকানের মোগলাই পরোটা খেয়ে মৃত্যু, এটি নিছক গুজব। আসলেই আমাদের দোকান থেকেই যে মোগলাই নেয়া হয়েছিল কিনা সেটাও আমি জানি না। জামাল উদ্দিন নাসের আরও বলেন, শহরে বহু বছর ধরে সুনামের সাথে আমরা স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে সকল প্রকার খাবার তৈরী ও বিক্রি করে আসছি।