রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন

হজ প্যাকেজ সহনশীল রাখার দাবি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১২ বার পঠিত

বিডি ঢাকা ডেস্ক

 

 

বিগত কয়েক বছর যাবত নানা ধরনের অনিয়ম, লুটপাট ও নৈরাজ্যের মাধ্যমে বিমান ভাড়া ও হজ্জ প্যাকেজ মূল্য অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি করায় চলতি বছরের হজ কোটা পূরণ হয়নি। হজ থেকে বঞ্চিত হয় ৪৫ হাজার মুসল্লী। এমন কঠিন বাস্তবতা বিবেচনায় রেখেই এবারের হজ প্যাকেজ সহনশীল রাখার জোর দাবি জানিয়েছে বৈষম্য বিরোধী হজ এজেন্সী মালিক সমিতির নামে একটি নতুন প্লাটফর্ম।

শনিবার হোটেল ওয়েষ্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সন্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করেন তারা। এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির আহবায়ক মোঃ আখতার উজ্জামান ও সদস্য সচিব মোহা¥মদ আলী।

এ সময় তারা বলেন-অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে হজ্জ টিকেটের বিমান ভাড়া অনেক বেশি। দুই/তিনটি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে সকল হজ্জযাত্রী পরিবহণ বাধ্য করায় হজ্জ প্যাকেজের মেয়াদ দীর্ঘ হয় এবং সৌদি আরবে থাকা খাওয়ার খরচ বৃদ্ধি পায়।
মাত্রাতিরিক্ত বিমানভাড়ার কারণে সরকারি ও বেসরকারিভাবে নির্ধারিত হজ্জ প্যাকেজ মূল্য প্রতিবছরই বৃদ্ধি পায়। ফলে সাধারণ হজ্জ যাত্রীগণ আর্থিক চাপের সম্মুখীন হচেছ এবং অনেক হজ্জ পালনে”ছুক ব্যক্তি হজ্জে যাওয়ার সক্ষমতা হারাচ্ছেন এসব সমস্যা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে বিমান ও বিমান ভাড়া সংক্রান্ত ২টি প্রস্তাব পেশ করছি। প্রথমত- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি এয়ারলাইন্স সহ অন্য সকল এয়ারলাইন্সের হজ্জ যাত্রী পরিবহনের সর্বোচচ ভাড়া ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মধ্যে নির্ধারণ করা ও থার্ড ক্যারিয়ারকে সুযোগ দেয়া। অন্যান্য প্রস্তাব সম্পর্কে আখতার উজ্জামান বলেন- এজেন্সীপ্রতি সর্বনি¤œ কোটা ৫০ জন ও সর্বোচচ কোটা ১৫০ জন করতে হবে। এতে করে অধিক সংখ্যক এজেন্সী অপারেটিং সুবিধা পাবে এবং সেবার মান বৃদ্ধি ও অধিকতর সন্তোষজনক হবে। মোনাজ্জেমদের জন্য মাল্টিপল বিজনেস ভিসা ও গাইডদের জন্য বারকোর্ড ভিসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। সাথে সাথে বাংলাদেশের বয়োঃবৃদ্ধ হাজীদের জন্য প্রতি ৪৫ জনে একজন গাইড থাকার নিয়ম রয়েছে। গাইডদেরকে বারকোড ভিসা সরবরাহ না করা হলে হজ্জ ভিসায় যেতে বাধ্য করলে প্যাকেজ মূল্য বৃদ্ধি পাবে। ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গজানো অবৈধ হজ কাফেলা ও গ্রুপ লিডার বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন- বিগত সময়ে যুব লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, অর্থ লুন্ঠনকারী, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী, স্বৈরাচারী পলাতক সাবেক সভাপতি এম. শাহাদাত হোসেন তসলিম হাব সভাপতি পদের অপব্যবহার করে তার রাজনৈতিক গুরু ও সকল অপকর্মের হোতা প্রাক্তন অর্থ মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের সহযোগিতায় ও অংশিদারীত্বে ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের বাংলাদেশের জিএসএ প্রাপ্ত হয়। সে তার অপরাপর কার্যনির্বাহী সদস্যদের নিয়ে হজ্জ যাত্রী পরিবহনে জাতীয় ক্যারিয়ার বিমান বাংলাদেশ এয়রলাইন্স ও সৌদিয়া এয়ারলাইন্স এর পাশাপাশি ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সকে সংযুক্ত করে হাজীদেরকে নি¤œ মানের সেবা ও নি¤œ মানের আসন ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রায় দ্বিগুন ভাড়ায় শত শত কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। যখন ১ ডলার সমান ৯০ টাকা ছিল, সে সময় হঠাৎ করে ১ লাখ ২৮ হাজার টাকার বিমান ভাড়া চক্রান্ত করে তাদের নিজেদের হীন স্বার্থ হাসিল করতে এক লাফে ১,লাখ ৯৮ হাজার নির্ধারণ করে তার ফ্লাই নাসের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। সকল নিয়ম নীতি ভেঙ্গে সে তার ব্যাক্তিগত প্রতিষ্ঠান “ডাইনেস্টি ট্রাভেলস” এর নামে হাজীদের অর্থ গ্রহণ করলে মন্ত্রনালয়ও এর দায় দায়িত্ব নিবেনা বলে পত্র ইস্যু করেছিল । অথচ হাজীদের পরিবহনে থার্ড ক্যারিয়ার উন্মুক্ত করার দাবী বহু দিনের হলেও সেটা মানা হচ্ছেনা। হজে স্টিকার বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। হাব পল্লীর দুর্নীতির তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার পাশপাশি বার্ষিক সাধারণ সভা ডেকে পলাতক হাব নেতাদের অপতৎরতা বন্ধ করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com