নিজস্ব সংবাদদাতা : বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিটিএ)।
সোমবার বেলা ১১টা থেকে এই অভিযান শুরু হয়। দ্বিতীয় দিনের মতো চলা এই অভিযানে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত আরও শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। আজকের অভিযানে বাবুবাজার ব্রিজসংলগ্ন এলাকা থেকে সোয়ারীঘাট পর্যন্ত নদীর জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব জামিল। ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক (বন্দর) গুলজার আলী, সহকারী পরিচালক রেজাউল করিমসহ সংস্থাটির অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।
ঘটনাস্থল থেকে আমাদের পুরান ঢাকা প্রতিনিধি জানান, আজ মিডফোর্ট হাসপাতালের পাশের বালুঘাট থেকে পশ্চিম দিকে প্রায় শতাধিক স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এছাড়া হাজী সেলিমের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠা বিভিন্ন ট্রান্সপোর্টের অফিস উচ্ছেদ করা হয়েছে।
তবে বিআইডব্লিটিএর জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা হাজী সেলিমের ‘চান সরদার কোল্ড স্টোরেজ’ উচ্ছেদ করা হয়নি। ভেতরে কাঁচামাল থাকায় পরে এটি নিজেরাই ভেঙে ফেলবে বলে জানিয়েছে কোল্ড স্টোরেজ কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক (বন্দর) গুলজার আলী জানান, সকাল থেকে আমরা এ পর্যন্ত অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। অভিযান এখনও চলছে।
হাজী সেলিমের কোল্ড স্টোরেজ না ভাঙার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোল্ড স্টোরেজটির ভেতরে ব্যবসায়ীদের কাঁচামাল রয়েছে।উচ্ছেদ অভিযান চালালে সেগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। তাই স্টোরেজ কর্তৃপক্ষে অনুরোধে সেটি ভাঙা হয়নি। তবে মালামাল সরানোর পর তারা নিজেরাই এটি ভেঙে ফেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত গত রোববার ওয়াইজঘাট থেকে বাদামতলী এলাকা পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। হাজী সেলিমের ঘনিষ্ঠরা বাদামতলী এলাকায় নদীর জায়গায় অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছিলেন। গতকালের অভিযানে ১৭০টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। এতে উদ্ধার হয় নদীতীরের অন্তত তিন একর জমি।