নিজস্ব সংবাদদাতা : জামিনে কারামুক্ত সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। রোববার (২৩ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তাকে নেওয়া হয়। এর আগে রোজিনা ইসলামবিকেল সোয়া ৪টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন।
সাতটি শারীরিক সমস্যার কারণে রোজিনা ইসলামকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার স্বামী মনিরুল ইসলাম মিঠু।
রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহর ভার্চ্যুয়াল আদালত পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে ও পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় রোজিনা ইসলামের জামিন মঞ্জুর করেন। পরে আদালত থেকে তার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। আদালতে জামিনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মুক্তি দেওয়া হয়।
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে গত ১৭ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্তা ও নির্যাতন করা হয়। সেদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে তাকে শাহবাগ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাত পৌনে ১২টার দিকে তার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। মামলার বাদী হন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী।
ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ১৮ মে রোজিনা ইসলামকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছিল। পুলিশ তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। রোজিনার আইনজীবীরা তার জামিন চান। আদালত রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আর জামিন আবেদনের ওপর অধিকতর শুনানির জন্য ২০ মে দিন রাখেন। এই আদেশের পর রোজিনা ইসলামকে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে পাঠানো হয়।
২০ মে রোজিনা ইসলামের জামিন আবেদনের ওপর প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ভার্চ্যুয়ালি শুনানি হয়। দুই পক্ষের শুনানি নিয়ে সেদিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ রাষ্ট্রপক্ষের নথি উপস্থাপন ও আদেশের জন্য রোববার (২৩ মে) দিন রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় রোববার সকাল সাড়ে দশটায় ভার্চ্যুয়ালি শুনানি ও আদেশ হয়।