নিজস্ব সংবাদদাতা : বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নির্বাচনে সভাপতি হয়েছেন ওমর ফারুক এবং মহাসচিব হয়েছেন দীপ আজাদ। এছাড়া (১০২২) সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান প্রতিবেদক উম্মুল ওয়ারা সুইটি।
শনিবার রাতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ফালাফল ঘোষণা করে। এতে সভাপতি পদে ওমর ফারুক পেয়েছেন ১২১৯ ভোট আর মহাসচিব পদে দীপ আজাদ পেয়েছেন ১৬১৭ ভোট।
এই নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ১৮০ জন। ভোট পড়েছে ১৬০৩ টি।
সভাপতি পদে ওমর ফারুকের নিকটতম প্রার্থী আবু জাফর সূর্য পেয়েছেন ৭৫৩ ভোট। দীপ আজাদের নিকটতম প্রার্থী আবদুল মজিদ পেয়েছেন ৪৯৩ ভোট।
সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মধুসূদন মণ্ডল। তিনি পেয়েছেন ৪২৭ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী আজমল হক হেলাল পেয়েছেন ৩৯৪ ভোট। যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন শেখ মামুনুর রশীদ। তিনি পেয়েছেন ৫২৮ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী নাসিমা আক্তার সোমা পেয়েছেন ৫১৩ ভোট। কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন খায়রুজ্জামান কামাল। তিনি পেয়েছেন ১০৩৭ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী নজরুল কবির পেয়েছেন ৭৪৩ ভোট। দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সেবীকা রানী। তিনি পেয়েছেন ৬০৬ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী এম শাহজাহান পেয়েছেন ২৪৭ ভোট।
সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন উম্মুল ওয়ারা সুইটি। তিনি পেয়েছেন ১০২২ ভোট। এ ছাড়া ড. উৎপল কুমার সরকার পেয়েছেন ৬৫১ ভোট, নূরে জান্নাত আখতার সীমা পেয়েছেন ৬৪২ ভোট এবং শেখ নাজমুল হক সৈকত পেয়েছেন ৬০৪ ভোট।
এর আগে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণ করা হয় রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে। এবারের নির্বাচনে সভাপতি, সহসভাপতি, মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব, কোষাধ্যক্ষ, দপ্তর সম্পাদক ও নির্বাহী পরিষদের ১০টি পদে ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচন পরিচালনা করে ছয় সদস্যের কমিটি। কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন শাহজাহান সরদার। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন রফিকুল ইসলাম, আশিস সৈকত, মহসিন আব্বাস ও শাহনাজ সিদ্দীকি।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটগ্রহণ চলে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
এবারের নির্বাচনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ, বগুড়া, রাজশাহী, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া ও নারায়ণগঞ্জে ১০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ১৮০। এর মধ্যে ২ হাজার ৯৭৭ জন ঢাকার। ঢাকায় ১৯টি বুথে ভোট নেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনে ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য শ্রম অধিদপ্তর থেকে ঢাকার কেন্দ্রের জন্য দুজন এবং ঢাকার বাইরের কেন্দ্রের জন্য একজন করে প্রতিনিধি নিযুক্ত করা হয়। ভোটগ্রহণ শেষে ঢাকার ভোট গণনা প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হয়।