নিজস্ব সংবাদদাতা-বিডি ঢাকা ডটকম : পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাঁচটি ওয়াগন (মালগাড়ি) চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন হয়ে ঢাকা রুটে চালু হতে যাচ্ছে একটি ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’। গত বছরের মতো এবারও সরকারের এ উদ্যোগের ফলে রাজশাহী থেকে মাত্র এক টাকা ১৭ পয়সায় রাজধানী ঢাকায় পৌঁছাবে আম।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৫ মে বিকেল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ রুটে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’ যাত্রা শুরু করবে। ট্রেনটি চালুর জন্য এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
এ ট্রেনটি চালু হলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে রাজধানী ঢাকার বাজারগুলোতে তরজাতা ও সতেজ আম এবং শাক-সবজিসহ কৃষিজাত পণ্য পৌঁছানো সম্ভব হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের এ দুর্যোগের সময়ে চাষিদের পাশে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। তাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী থেকে এবারও ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু করা হচ্ছে।
জানা গেছে, প্রতিটি ওয়াগনের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ৪৩ মেট্রিক টন। তবে আম বহন করা হবে ৩০ মেট্রিক টন। কাঁচা বা আধাপাকা আম যেন অতিরিক্ত গরম ও চাপে নষ্ট না হয়ে যায় সে কারণে ওয়াগনে ধারণক্ষমতার কিছু কম আম বহন করা হবে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (পাকশী) মো. নাসির উদ্দিন বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী থেকে আমসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য পার্সেল পরিবহনের জন্য এবারও বিশেষ এ ট্রেনটি চালু করা হচ্ছে। ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে যখন ঢাকা যাবে তখন ট্রেনটির নাম হবে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন-২’। আর ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফেরার পথে নাম হবে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন-১’। ট্রেনটি সপ্তাহে প্রতিদিনই চলাচল করবে।
ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনটি প্রতিদিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বিকেল ৪টায় ছেড়ে আসবে। রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাবে ৫টা ২০ মিনিটে। পণ্য তোলার জন্য ট্রেনটি এখানে ৩০ মিনিট বিরতি দেবে। বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে ট্রেনটি আবারো ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে।
এ ট্রেনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এক কেজি আমের ভাড়া লাগবে এক টাকা ৩০ পয়সা। আর রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে এক কেজি আম ঢাকার বিমানবন্দর, তেজগাঁও বা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পরিবহন করতে খরচ পড়বে ১ টাকা ১৭ পয়সা।
ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ২টায়। ঢাকা থেকে ট্রেনটি রাত ২টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যাবে। রাজশাহী পৌঁছাবে সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে। সেখানে ২০ মিনিট থেমে ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। পৌঁছাবে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে।
ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনটিতে আমের পাশাপাশি সব প্রকার শাক-সবজি, ফলমূল, ডিমসহ কৃষিজাত পণ্য, আসবাবপত্র এবং রেলওয়ের আইনে পার্সেল হিসেবে বহনযোগ্য সব প্রকার মালামাল বহন করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছর ৫ জুন প্রথমবারের মতো এ রুটে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু করা হয়। গত বছরের জুন ও জুলাইয়ে মোট ৮৫৭ মেট্রিক টন আম ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনে পাঠানো হয়েছিল। এতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের আয় হয় নয় লাখ ২৯ হাজার ৮৬৯ টাকা।