বিডি ঢাকা ডট কম নিউজঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত বারঘরিয়া দৃষ্টি নন্দনপার্ক এলাকার মহানন্দা নদীর তীর ঘুরে দেখা যায় ময়লা আবর্জনার স্তূপ।
সারাদিনের অবসাদ ক্লান্ত ভাব দূর করতে বিকেল বেলা শহর ও আশেপাশের এলাকা থেকে বিভিন্ন পেশার আবালবৃদ্ধবনিতা মানুষেরা ছুটে আসে বারঘরিয়ার এই মহানন্দা নদীর তীরে।
নির্মল বাতাসের এ বিনোদন কেন্দ্রে কেউ আসেন বন্ধু বান্ধবের সাথে আড্ডা দিতে, কেউ আসেন নৌকায় চড়ে আনন্দ করতে আর কেউবা আসেন শিশুদের নিয়ে নাগরদোলায় দোল খেতে। কিন্তু সরজমিনে এসে দেখা যায় প্রধান স্থান মহানন্দা নদীর তীরে বিভিন্ন জায়গায় যত্র-তত্র সব ময়লা আবর্জনায় ভর্তি রয়েছে। এগুলো বেশিরভাগ ফেলা হচ্ছে আশেপাশের অস্থায়ী দোকানপাট থেকে। যার কারণে নদীর পানি দূষিত হওয়ার পাশাপাশি আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ছে দুর্গন্ধ।
বারোঘরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়ামিন হাসান শুভ বলেন, বাড়ির পাশে হওয়ায় আমি প্রায় সময় একটু প্রশান্তির প্রত্যাশায় বন্ধু বান্ধবের সাথে এখানে ঘুরতে আসি। কিন্তু নদীর ধারের যে নোংরা পরিবেশ তাতে মুখে রুমাল দিয়ে নৌকায় চড়তে যেতে হয়। যদি আশেপাশের পরিবেশ টা আরেকটু উন্নত হয় তাহলে আমরা স্বস্তি পেতাম। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কেই বা পছন্দ করেনা বলুন?
বারঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেন, আমি এবিষয়ে সচেতন আছি। মাঝেমধ্যে গ্রাম পুলিশ সাথে নিয়ে আমি নিজে উপস্থিত থেকে স্থায়ী অস্থায়ী দোকানদারদের ময়লা-আবর্জনা যেনো না ফেলা হয় সে জন্য নিষেধ করে থাকি। ইতিমধ্যে নিজ উদ্যেগে নদীর ধার দিয়ে তারের বেড়া দেয়া হয়েছে যেনো ময়লা-আবর্জনা ফেলতে না পারে। তারপরও সকল বাধা উপেক্ষা করে রাতের আঁধারে নদীর ধারে দোকানীরা ময়লা আবর্জনা ফেলে পরিবেশ নষ্ট করছে। ইউএনও মহদয়কে বলে এর একটা সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এবিষয়ে সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, কয়েক দিন আগে সার্কেল স্যারকে নিয়ে ঘুরতে গেছিলাম। সবকিছু ভালোই লেগেছে তবে নদীর তীরে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় দেখে খুব ব্যথিত হয়েছি। দূর্গন্ধে পরিবেশ নষ্ট করছে। খুব শীঘ্রই যেন এর পরিত্রাণ হয়, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুঠোফোনে জানান, কেউ এবিষয়ে অভিযোগ দেয়নি তারপরও আমি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে বলে এই সমস্যার সমাধান করতে বলবো। প্রয়োজন হলে আমি নিজে গিয়ে বিষয়টি দেখভাল করবো। তবে বারঘরিয়া দৃষ্টি নন্দন পার্কে অহেতুক কেউ পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
স্থানীয়রা ও আগত দর্শনার্থীরা প্রশাসনের কাছে বিনীত অনুরোধ জানান, উপরোক্ত বিষয়টি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে তৎপর হবেন।