নিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ভ্যাকসিন কার্যক্রম সম্পন্ন হলে প্রথমে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হবে। আর সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খুলে দেয়া হবে।মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনাকালে সরকারপ্রধান এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারি প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষায় ঘরে বসে টেলিভিশনের মাধ্যমে দূরশিক্ষণের কার্যক্রম চলছে। বাংলাদেশ বেতার, কমিউনিটি রেডিও এবং অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। এতে করে প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ এক বছর শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখা সম্ভবপর হয়েছে।
দেশের সকল নাগরিককে বিনামূল্যে করোনার টিকা দেয়া হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিকা কিনতে আমরা বাজেটে ১৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছি। বিভিন্ন উৎস্য হতে এক কোটি ১৪ লাখ ৬ হাজার ডোজ টিকা সংগ্রহ করেছি। আরো যত টাকাই লাগুক না কেন আমরা সেই টাকা দেব। পর্যায়ক্রমে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, যখন পৃথিবীর সব জায়গায় টিকা নিয়ে গবেষণা চলছিল তখনই আমরা যোগাযোগ করি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দেয়ার আগেই আমরা টাকা পাঠিয়ে ভ্যাকসিন বুক করেছি। দুর্ভাগ্যজনক যে ভারতে হঠাৎ করোনা এতো ব্যাপকহারে বেড়ে গেল যে তারা ভ্যাকসিন রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় আমরা সাময়িকভাবে সমস্যায় পড়ে গেছি। কিন্তু আল্লাহর রহমতে বর্তমানে আমাদের ব্যবস্থা হয়ে গেছে। এখন আর কোনো সমস্যা হবে না।
‘চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সব কোম্পানির সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত আছে। আশা করছি, জুলাই মাস থেকে আরো টিকা আসবে। ব্যাপকভাবে টিকা প্রদান শুরু করবো।’
সরকারপ্রধান আরো বলেন, জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, জীবন-জীবিকার সুরক্ষা দেয়া এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে কোনো উদ্যোগ নেয়ার প্রয়োজন হলে দ্রুততার সাথে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব এবং মানুষের পাশে আমরা দাঁড়াব।