গোমস্তাপুর(চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: অনেক দিন অব্যাহত অ্যাম্বুলেন্সটি মরিচা ধরে গেছে। কতদিন ধরে এবং কেন ব্যবহৃত হচ্ছে না? তা অজানা কর্তৃপক্ষের। এভাবে প্রায় অকেজো হয়ে গেলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চারটি অ্যাম্বুলেন্স। স্থানীয়রা বলছেন প্রায় আট মাস আগে একটি অ্যাম্বুলেন্স যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ার পর আর ব্যবহার হয়নি। অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থেকে অ্যাম্বুলেন্সটি এখন অকেজো হয়ে গেছে। মেরামতের অভাবে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। সরেজমিনে দেখা গেছে মরিচা ধরে যাওয়া তিনটি অ্যাম্বুলেন্সে নাজেহাল অবস্থা খোলা আকাশের নিচে পড়ে রয়েছে। অথচ মেরামতের অভাবে জাতীয় সম্পদের (গাড়ির) চাকাগুলো মাটিতে দেবে আছে। ভিতরে থাকা অনেক যন্ত্রাংশ এখন আর নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিন বছর আগে একটি অ্যাম্বুলেন্স দেই। এরপর তার চাকা নষ্ট হয়ে গেলে সেটা আর ভালো করা হয়নি। এতদিন এই ভাবে পড়ে থেকে পুরোপুরি অকেজো হয়ে গেছে। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিনে প্রায় দুইশ-আড়াইশো রোগী সেবা নিতে আসেন। ভর্তি হন প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১৫জন। এদের মধ্যে অনেকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা অথবা বিভাগীয় হাসপাতালে পাঠাতে হয়। কিন্তু প্রতিদিন একজন রোগী অ্যাম্বুলেন্স সেবা পাই। যেতে হয় গাড়ি ভাড়া করে মেডিকেলে।প্রয়োজনে আসা কয়েকজন বলেন,গ্রামের অধিকাংশ মানুষই অল্প আয়ের। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স একজন রোগী নিয়ে অন্যত্র চলে গেলে বাকি রোগীদের বিপাকে পড়তে হয়। রহনপুর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ও রাজশাহী যাওয়ার জন্য। দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স গাড়ি মেরামতের জন্য তারা কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন। সমাজকর্মী মঈনদ্দিন বলেন,এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনিয়ম ও দুর্নীতিতে ছড়িয়ে গেছে। সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে হাতে গুনা কয়েকজন রোগী সেবা পায়। এখানে তিনটি এম্বুলেন্স সামান্য কিছু অর্থের কারণে মেরামত করছে না।খোলা আকাশের নিচে ফেলে রয়েছে। যাতে করে দীর্ঘদিন পথাকায় তিনটে আম্বুলান্স প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। অ্যাম্বুলেন্স গুলো মেরামত করা হলে অনেক রোগীরা ভালো সেবা পাবে। আরেকটি এম্বুলেন্স যেটা আছে এটা নাচোল থেকে ধার করে আনা হয়েছে। এটা কোন সময় কোন যান্ত্রিক সমস্যা হলে রোগা-মোটা সেবা পায় না। অনেকদিন ভোগান্তিতে রোগীদের থাকতে হয়। এ বিষয়ে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডঃ মাসুদ পারভেজ বলেন,কবে থেকে এবং কেন এ অ্যাম্বুলেন্সগুলো অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে তা তার জানা নেই।তবে আরেকটি এম্বুলেন্স সচল থাকায় বিভিন্ন জটিলতা থাকায় পুরোনো অ্যাম্বলেন্সগুলো আর মেরামত করা হচ্ছে না। পুরোনো অ্যাম্বুলেন্সগুলো আর মেরামত করা হবে কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে ?তিনি পরে কথা বলবেন বলে জানান।