গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধি: মহামারী করোনাভাইরাসে দেশ যখন স্থবির হয়ে দাঁড়িয়েছে এই সময় কিছু অর্থলোভী চিকিৎসক নানা কায়দায় টাকা আদায় করে নিচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। করোনা স্যাম্পল টেস্টের জন্য অ্যান্টিজেন টেস্টে একশত টাকার অধিক আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গোপন সূত্রে জানা গেছে, অ্যান্টিজেন টেস্ট যারা করাচ্ছেন তাদের সকলের নিকট থেকে ১’শ টাকার অধিক নেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কোন রশিদ দেয়া হচ্ছে না। প্রমাণ স্বরূপ চাইতে গেলেও তা দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। নাম প্রকাশ না করার সত্ত্বে স্থানীয় এক সাংবাদিক বলেন, আমি গত ১৩ মে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য গেলে নানা কালক্ষেপণ করে আমি একশত টাকা দিলেও তা অস্বীকার করেন। পরে আমার রিপোর্ট দিতে অনেক দেরী হওয়ায়। আমি বিষয়টি তাদেরকে অবগত করলে তারা পরে তা করে দেই। কিন্তু আমার অ্যান্টিজেন টেস্ট করাতে ১’শ টাকা করে নেই।টাকা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোন রশিদ দেয়া হচ্ছে না। আরো একজন ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, আমার পরিবারের পাঁচজনের অ্যান্টিজেন টেস্ট করিয়ে একজনের পজেটিভ এসেছে। তাদের কাছে ১’শ টাকা করে ৫’শ টাকা নেয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে কোন রশিদ দেয়া হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল চিকিৎসক ও করোনা ইউনিটের মনিটরিং কর্মকর্তা ডা.হাসান আলী বলেন, করোনা টেস্টের জন্য অ্যান্টিজেন টেস্টে কোন সরকারি ফি নেওয়ার নিয়ম নেই। আর অ্যান্টিজেন টেস্টে যাদের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট হয়। তাদের রিপোর্ট পিসিআর ল্যাব এ জুন মাস থেকে আর পাঠানো হয়না। তবে যাদের কাছে টাকা নেওয়া হয় নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে রশিদ দিতে হবে। এক্ষেত্রে যদি রশিদ না দেই তবে এটা নিয়মবহির্ভূত। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।