নিউজ ডেস্ক : করোনা মহামারিতে অনেকেই হারিয়েছেন চাকরি। কর্মক্ষেত্র সংকুচিত হওয়ায় অধিক যোগ্য হয়েও পাচ্ছেন না চাকরির সন্ধান। এছাড়াও অনেকে ক্ষুদ্র ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। ঋণ শোধের পাশাপাশি বাসা ভাড়া দিতে খেতে হচ্ছে হিমশিম। এই অবস্থায় বিভিন্ন পরিবারে আর্থিক সংকট তৈরি হয়েছে। আর তার প্রভাব পড়ছে পরিবারের শিশুটির ওপরও। তাই সামাজিক উদ্যোগ নিয়েছে ডু সামথিং এক্সপেশনাল (ডিএসই)। এই উদ্যোগের নাম দিয়েছে ‘মনার জন্য’; যার উদ্দেশ্য করোনায় আর্থিক সংকটে থাকা পরিবারদের জন্য বিনামূল্যে শিশু খাদ্যে সরবরাহ করা। তাদের ফেসবুক পেজে বার্তা পাঠালেই মিলবে এই সেবা।ডিএসই’র এই পরিকল্পনার উদ্যোক্তারা জানান, নিষ্পাপ চাহনির অবুঝ শিশুরা কখনও বলতে পারে না তার ক্ষুধা লেগেছে। একটু কান্না শুনেই ছটফট করতে থাকা বাবা মায়ের অস্থির মন ব্যাকুল থাকে। কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হলেই ভয়ে গা শিউরে উঠে, বুঝতে পারে সন্তানের খাবার আকুতি ঘোচাতে তাদের কিসের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে চলছেন তারা। পৃথিবীর প্রতিটা বাবা মার স্বপ্ন সন্তানের মুখে তৃপ্তির হাসি দেখা। এরই প্রত্যাশায় কিছু বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণে ডিএসই’র বিশেষ আয়োজন ‘মনার জন্য’।
তারা জানান, বিলাসিতা ভরা সমাজের চাকচিক্যের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে লোকচক্ষু আড়াল করে প্রতি পদে পদে সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হয় তাদের। কারও কাছে ছোট হতে চায় না বলে নিজে হয়ত খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন। কিন্তু সন্তানের মুখে খাবার দিতে হবে ভাবলেই লোকলজ্জা ভুলে কেউবা হেরে যান আত্মসম্মানের কাছে। এই পরিস্থিতি বিবেচনায় গত বছর থেকেই কাজ করে আসছে ডিএসই।ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা জানান, জীবনের এই প্রতিযোগিতায় তাদের পরিবারকে যেন কখনও ছোট না হতে হয়, আত্মসম্মান যেন বিন্দুমাত্র ক্ষুণ্ণ না হয়, নাম পরিচয় গোপন থাকবে সেই আশ্বাস আমরা দিচ্ছি। আমাদের এই উদ্যোগে শামিল হতে পারেন সবাই।
গত কয়দিনে ডিএসই এখন পর্যন্ত ৪০ এর বেশি শিশুর জন্য পৌঁছাতে পেরেছে শিশুর খাদ্য; যা তাদের এক মাসের মুখের হাসি নিশ্চিত করেছে।