মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৩০ অপরাহ্ন

করোনা প্রতিরোধে সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনেও সক্রিয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২ জুলাই, ২০২১
  • ১৯৩ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ : করোনা প্রতিরোধে সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনেও রাজপথে কঠোর অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বৃষ্টির দিনে ফাঁকা রাস্তায় মামলা, আটক ও সাজার সংখ্যা কমেছে। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ৩২০ জনকে গ্রেফতার ও ২০৮ জনকে জরিমানা করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধ চলবে ৭ আগামী জুলাই পর্যন্ত। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না মানুষ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যদের সতর্ক অবস্থান ও অঝোরে বৃষ্টিতে সারাদেশে বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন কঠোরভাবে অতিবাহিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত একটানা বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীসহ সারাদেশে। টানা বর্ষণে ঢাকা শহরের কোন কোন সড়কে পানি জমে গেছে। পানি জমে যাওয়ায় গলিগুলোতেও মানুষের ভিড় কম ছিল। বৃষ্টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজকে সহজ করে দিয়েছে। তবে বৃষ্টির পরে মানুষের অলিগলিতে ভিড় করতে দেখা গেছে। ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে সারাদিন বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। ঘরবন্দী মানুষের বাইরে চলাচল কম ছিল।

দেশে টানা ছয় দিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ১৩২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ৪৮৩ জনের।

বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর বেশকিছু সড়ক ঘুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থান দেখা গেছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। সেনাবাহিনীর টিমগুলো রাস্তার মূল সড়কে টহল দিচ্ছিল। র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের গাড়ি টহল দিচ্ছে সড়কে। মূল সড়কে চলাচলকারী ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কম হলেও বৃষ্টির পর তা কিছুটা বেড়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার সকালে নিত্যপণ্য কেনার জন্য মানুষের সংখ্যাও বৃষ্টির জন্য কম ছিল। পাড়ার অলিতে গলিতে শুধু সবজি ও নিত্যপণ্যের দু-একটি দোকান দেখা গেছে। এছাড়া রাজধানীর কাঁচাবাজার এলাকায় কিছুটা ক্রেতাদের ভিড় ছিল। মূল সড়কে মানুষ নেই বললেই চলে। রাস্তায় চিকিৎসা সেবা, জরুরী প্রয়োজন, বিমানবন্দরে যাওয়ার নাম করে অনেকেই নেমেছেন। তাদের রাস্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে। উত্তর সন্তোষজনক হলে তাদের গন্তব্যের জন্য ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। না হলে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।

কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন রাজধানীর বিজয় সরণি, বনানী উত্তরাসহ ঢাকার রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা দেখা গেছে। শুক্রবার ছুটির দিন এবং টানা বৃষ্টির কারণে রাস্তায় যানবাহনের চাপ যেমন কম ছিল, তেমনি লোকজনের আনাগোনাও তেমন ছিল না। ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিভিন্ন চেকপোস্টে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে।

খিলগাঁও ফ্লাইওভারের নিচে কাঁচাবাজারে বৃষ্টির মধ্যেই সবজি কিনতে বের হয়েছিলেন আসিফুর রহমান। তিনি বেসরকারী একটি ব্যাংকে কর্মরত রয়েছেন। আসিফুর বলেন, গত কয়েকদিনে জুন ক্লোজিংয়ের কাজের জন্য কাঁচাবাজার একদমই কিনতে পারেননি। কোন উপায় না পেয়ে এক প্রকার বাধ্য হয়েই বাসার নিচে নেমেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজার করে বাসায় ফিরবেন।

বেলা ১১টা পর্যন্ত রাজধানীর বেশকিছু স্থানে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টিতে রাজধানীর মূল সড়কে অল্প কিছু ব্যক্তিগত যানবাহন চোখে পড়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে ৫৫০ জনকে গ্রেফতার, সাজা ও গাড়ির নামের মামলা দেয়ায় শুক্রবার রাস্তায় মানুষের চলাচলও কম ছিল। ব্যক্তিগত গাড়ি কম চললেও মানুষ রিক্সায় চলাচল করেছে। চলছে মোটরসাইকেল ও নিত্যপণ্যের কিছু যানবাহন। জরুরী প্রয়োজনে অনেকেই পরিবারের লোকজনকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বের হয়েছিলেন। শুক্রবার ৩২০ জন গ্রেফতারের পাশাপাশি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২০৮ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। দ্বিতীয় দিনে ট্রাফিক পুলিশ ৬৮টি গাড়িকে এক লাখ ১৯ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করেছে।

বৃহস্পতিবার কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিন প্রশাসনের কড়া অবস্থানের কারণে অনেকেই ঘর থেকে বের হননি। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রধান সড়ক-মহাসড়ক ছিল প্রায় ফাঁকা। যারা যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া বের হয়েছেন, তাদের অনেককে জরিমানার মুখে পড়তে হয়েছে। অনেকে আবার আটকের পর মুচলেকায় ছাড়া পান। কাউকে কাউকে সুনির্দিষ্ট আইনের মামলায় গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে এসব বিধিনিষেধ প্রতিপালনে মাঠে ছিল সেনাবাহিনীর ২৪টি টিম। মাস্ক পরা নিশ্চিত করা, বিনা কারণে বের হওয়া ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা এবং জরুরী প্রয়োজনে বের হওয়া ব্যক্তিদের অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানতে কাজ করছে টিমগুলো। রাজধানীর মতো সারাদেশেও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী। এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (২ জুলাই) সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর টহল দেখা গেছে। শুক্রবার সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে জানানো হয়, সেনাবাহিনীর ২৪টি টিম রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে দিনভর কাজ করবে। প্রতিটি টিমের নেতৃত্বে রয়েছেন একজন ক্যাপ্টেন অথবা মেজর পদমর্যাদার সেনা কর্মকর্তা।

এদিকে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে বিনা কারণে বাইরে বের হওয়ায় ৩০ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগ। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর, গাবতলী, টেকনিক্যাল, শাহ আলী, পল্লবী, কাফরুলসহ অন্যান্য থানা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। মিরপুর বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) আ স ম মাহতাব উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জরুরী প্রয়োজনে যারা সড়কে বেরিয়েছেন, তাদের পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। কঠোর লকডাউনের মধ্যেও যথাযথ কারণ ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়ায় মিরপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রথম দিন বিধিনিষেধ বেশ ভালভাবে কার্যকর করা সম্ভব হয়েছে। পুরো সময়টা এমন শক্ত অবস্থানে পুলিশ থাকবে। করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় অনেকের মধ্যে কিছুটা সচেতনতাও তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, তবে তরুণ ও কম বয়সীদের মধ্যে বিধিনিষেধ মানার প্রবণতা কম। অনেক এলাকায় অলিগলিতে তারা আড্ডা দেয়। বয়স কম হওয়ায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি তাদের কম হলেও তারা বাসায় বয়স্কদের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে- এই বোধ তাদের মধ্যে তৈরি হতে হবে। কেউ অকারণে বের হলে তাকে দ-বিধির ২৬৯ ধারা অনুযায়ী গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হচ্ছে, যেটি আমরা এর আগে কখনও করিনি।

চট্টগ্রামের মূল রাস্তার আশপাশে দোকানপাট বন্ধ ও লোকজনের চলাচল সীমিত দেখা গেছে। রিকশা ছাড়া তেমন কোন যানবাহন নেই। কিন্তু অলিগলিতে লোকজনের জটলা দেখা গেছে। শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ও সেনাবাহিনী চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম চালাচ্ছে। দুপুরে নগরীর বাটালী রোড, কাজির দেউড়ীসহ বিভিন্ন এলাকার অলিগলি ঘুরে দেখা গেছে মানুষের জটলা। অনেকেই অলিগলিতে বসে আড্ডা দিতে দেখা গেছে। তবে নগরীর প্রবেশপথ ও মূল সড়কগুলোতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চেকপোস্টের কারণে যানবাহন চলাচল নেই বললেন চলে। চট্টগ্রাম নগরীর প্রবেশপথ সিটি গেট ও নতুন ব্রিজে এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করছে সেনাবাহিনী। তবে জরুরী প্রয়োজনে মানুষজনকে চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে।

দ্বিতীয় দিনেও ময়মনসিংহের সড়কে প্রশাসনের কঠোর অবস্থানে ছিল। জেলায় ৫২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সঙ্গে আছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

শুক্রবার সকাল থেকে নগরীর বেশ কিছু সড়ক ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। থেমে থেমে নামা বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের গাড়ি টহল দিচ্ছে সড়কে।

সারাদেশে সাত দিনব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনেও ছিল নারায়ণগঞ্জ শহর একেবারে ফাঁকা। শুক্রবার সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নগরীতে প্রবেশপথগুলোতে তল্লাশি চালিয়েছে। পণ্যবাহী ও জরুরী সেবার কাজে নিয়োজিত যানবাহন ছাড়া কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মাস্ক ব্যবহার ছাড়া বা বিনা প্রয়োজনে মানুষ বাইরে বের হলেও চেকপোস্টগুলোতে কড়া নজরদারি ও জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হলে মানুষকে চেকপোস্ট অতিক্রম করতে না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।

রংপুরের রাস্তাগুলো ফাঁকা সুনসান। সড়ক দেখে বোঝার কোন উপায় নেই, নিত্যপণ্য কেনাকাটা করতে বাজারের ভেতর মানুষের ভিড়। সেখানে নেই কোন সামাজিক দূরত্ব। ঠাসাঠাসি অবস্থা। অধিকাংশ মানুষের মুখেও নেই মাস্ক। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের সিটি বাজারে গিয়ে এই চিত্র দেখা গেছে। সাধারণত শুক্রবার অন্যদিনের চেয়ে এই বাজারে বেশি ভিড় হয়।

যা বন্ধ রয়েছে ॥ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে। এসব বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীও মাঠে থাকবে। সব সরকারী, আধা সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারী অফিস বন্ধ থাকবে। সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহনসহ সব ধরনের যন্ত্রচালিত যানবাহন এবং অভ্যন্তরীণ উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে। শপিংমল, মার্কেটসহ সব দোকানপাট এবং পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান করা যাবে না। অতি জরুরী প্রয়োজন (ওষুধ-নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয়, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার) ছাড়া কেউ কোনোভাবে ঘরের বাইরে বের হতে পারবে না। নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

যা খোলা : আইনশৃঙ্খলা ও জরুরী পরিষেবা (কৃষিপণ্য-উপকরণ-খাদ্যশস্য-খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, করোনা টিকাদান, রাজস্ব আদায় কার্যাবলি, বিদ্যুত-পানি-গ্যাস-জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট, গণমাধ্যম, বেসরকারী নিরাপত্তাব্যবস্থা, ডাকসেবা, ব্যাংক, ফার্মেসি, ফার্মাসিউটিক্যালসসহ জরুরী পণ্যসেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবে)। পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক, লরি, কাভার্ডভ্যান, কার্গো ভেসেল নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে। বন্দরগুলো (বিমান, সমুদ্র, নৌ, স্থল) ও সংশ্লিষ্ট অফিস নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে। শিল্পকারখানা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। কাঁচাবাজার-নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। টিকা কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে টিকা গ্রহণের জন্য যাতায়াত করা যাবে। খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রি (অনলাইনে কেনা বা খাবার নিয়ে যাওয়া) করতে পারবে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু থাকবে। বিদেশগামী যাত্রীরা তাদের আন্তর্জাতিক ভ্রমণের টিকেট প্রদর্শন করে গাড়িতে যাতায়াত করতে পারবেন। বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট, বাংলাদেশ ব্যাংক ও ধর্ম মন্ত্রণালয় তাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করেছে। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত সোমবার থেকেই সারাদেশে গণপরিবহন, শপিংমল, মার্কেটসহ বেশ কিছু কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com