অনলাইন নিউজ : ঈদুল আজহা ১০ জিলহজ নির্ধারিত। এ দিন সকাল সকাল ঈদের নামাজ পড়তে হয়। কিন্তু কুরবানিও কি এ দিনই করতে হবে? নাকি ঈদের পরেও করা যাবে?
বিশ্বজুড়ে মুসলিম উম্মাহ ১০ জিলহজ পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করেন এবং কুরবানি শুরু করেন। কিন্তু কুরবানিও কি ১০ জিলহজ সম্পন্ন করতে হবে? নাকি কুরবানির জন্য আরও সময় পাওয়া যাবে। এ ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশনা হলো-
হ্যাঁ, শুধু ঈদুল আজহার দিনই নয়, বরং ১০ জিলহজ ঈদুল আজহার নামাজর পর থেকে শুরু হয় কুরবানি করার সময়। এ দিন ছাড়াও আরও দুই দিন কুরবানি করা যাবে।
হিসাব অনুযায়ী, ১৪৪২ হিজরির ১০-১২ জিলহজ মোতাবেক ২১ জুলাই বুধবার থেকে ২৩ জুলাই শুক্রবার ডোবার আগ পর্যন্ত চাইলে যে কেউ কুরবানি করতে পারবে।
১০ জিলহজ ঈদের নামাজের পর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তর আগে কুরবানি করার করার সুযোগ রয়েছে। তবে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পর কুরবানি বৈধ নয়।’ (আলমগীরি)
মনে রাখতে হবে
এ কারণেই যদি কেউ এ ১০-১২ জিলহজ ৩ দিনের মধ্যে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয় তবে তাকে অবশ্যই কুরবানি দিতে হবে।
আবার যদি কেউ নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়, ১০ ও ১১ জিলহজ সফরে থাকে। তারপর ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগে বাড়ি ফিরে আসে, তবে তার উপর কুরবানি করা ওয়াজিব হবে।’ (আলমগীরি)
তবে কুরবানির সময় প্রসঙ্গে বিখ্যাত গ্রন্থ কুদুরিতে এসেছে, ‘ঈদুল আজহার দিন নামাজের আগে কুরবানি করা বৈধ নয়। কিন্তু যে স্থানে ঈদের নামাজ বা জুমআর নামাজ বৈধ নয় বা ব্যবস্থা নেই, সে স্থানে ১০ জিলহজ ফজরের নামাজের পরও কুরবানি করা বৈধ হবে।’ (কুদুরি)
ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে কুরবানির সময় তিন দিন। যারা কোনো কারণে কুরবানি করতে পারেননি, তাদের জন্য ঈদের পরের দুই দিন তথা ১১ ও ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগে কুরবানি করার সুযোগ রয়েছে।
আল্লাহ তুআলা মুসলিম উম্মাহকে জিলহজের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ সামর্থ্য অনুযায়ী কুরবানির জন্য নির্ধারিত পশু জবেহ করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।