মাদক আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির জামিন আবেদনের শুনানির জন্য তিন সপ্তাহ পরের তারিখ রাখার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে গেছেন তার আইনজীবী।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ জামিন আবেদনের শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর তারিখ রেখে গত রোববার যে আদেশ দিয়েছেন, তার যৌক্তিকতা বিবেচনার (রিভিশন) আবেদন করা হয়েছে হাই কোর্টে।
সেই সঙ্গে হাই কোর্টে পরীমনির জামিনেরও আবেদন করা হয়েছে বলে তার আইনজীবী মজিবুর রহমান জানিয়েছেন।
বুধবার সকালে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চের অনুমতি নিয়ে আবেদনটি করা হয়।
মজিবুর রহমান বলেন, “গত ২২ অগাস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত জামিন আবেদনে যে আদেশটি দিয়েছেন সেটি চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। পাশাপাশি জামিন চাওয়া হয়েছে। আগামীকাল আবেদনটি শুনানির জন্য মেনশন করব, এরপর কবে শুনানি হবে বলতে পারব।”
গত ৪ অগাস্ট রাতে ঢাকার বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরদিন তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক আইনে এ মামলা করা হয়। জব্দ তালিকায় পরীমনির বাসা থেকে ‘মদ এবং আইস ও এলএসডির মতো মাদকদ্রব্য’ উদ্ধারের কথা বলা হয়।
ঢাকার মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম গত ১৯ অগাস্ট পরীমনির জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে এ মামলায় তৃতীয় দফায় আরও এক দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন।
সেই রিমান্ড শেষে পরীমনিকে ২১ অগাস্ট আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি। তদন্ত কর্মকর্তা তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
কিন্তু পরীমনির আইনজীবীরা জামিনের কোনো আবেদসে এদিন করেননি। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম আশেক ইমাম পরীমনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জামিন আবেদন না করায় শুনানি শেষে পরীমনি প্রকাশ্যেই তার আইনজীবীদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী ও কামরুজ্জামান চৌধুরীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আপনারা জামিন চান না কেন? আমি তো পাগল হয়ে যাচ্ছি।”
“আপনারা বুঝতেছেন, আমার কী কষ্ট হচ্ছে? আপনাদের নিজেদের মধ্যে কী হয়েছে? কেন জামিন চাচ্ছেন না?”
পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান পরদিন ঢাকার জজ আদালতে জামিনের আবেদন জমা দেন। বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ সে আবেদন শোনার জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন রাখেন, যা নিয়ে এখন আপত্তি করছেন পরীমনির আইনজীবী।
মজিবুর রহমান বলেন, “পরীমনির অসুস্থতা এবং তার জামিনের অনিবার্যতার বিষয়টি উল্লেখ করে আবেদনটি করা হয়েছিল। কিন্তু আবেদনটির শুনানি এত দীর্ঘ সময় পর রাখা হয়েছে।
“মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করলে এত লম্বা তারিখ দেওয়ার কথা না। এতে আমরা অসন্তুষ্ট। ফলে এ আদেশের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে (হাই কোর্টে রিভিশন) আবেদনটি করা হয়েছে। সাথে পরীমনির জামিন চাওয়া হয়েছে।”
এ জাতীয় আরো খবর..