রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির জামিন শুনানির জন্য মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এরআগে সোমবার সন্ধ্যায় ‘অবিলম্বে পরীমনির জামিন দিয়ে সত্য প্রমাণের সুযোগ এবং সুবিচার’ চেয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে। পাশাপাশি পরীমনি ‘জামিন পেলে পালিয়ে যাবে’ এমন বক্তব্যদানকারী আইনজীবীর সমালোচনাও করেছে সমিতি।
সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান স্বাক্ষরিত পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পরীমনির ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া না জানানোর ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়। এতে বলা হয়- বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি ঘটনার সত্য মিথ্যা না জেনে তাৎক্ষণিক মন্তব্য থেকে বিরত থাকে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়- পরীমনি বড় শিল্পী হওয়ায় তার ঘটনা নিয়ে এত দ্রুত সত্য মিথ্যা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা দুরূহ ব্যাপার ছিল এবং সেই প্রসঙ্গে যারা তাৎক্ষণিক বিবৃতি দিয়েছেন তা নিয়ে বিভিন্ন পক্ষ বিপক্ষ তৈরি হয়ে ঘটনাকে এমন একটা সংঘাতময় রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে যে যার থেকে আসল ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া যায়নি।
ঘটনার এমন পরিপ্রেক্ষিতে পরিচালক সমিতি পরীমনির ঘটনায় নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে পরীমনির জামিন দিয়ে সত্য মিথ্যা প্রমানের সুযোগ এবং পরীমনির প্রতি সুবিচার দাবি করে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- আমরা সমিতিগতভাবে পরিস্কার জানাতে চাই পরমিনী আমাদের একজন প্রিয় শিল্পী। তার গ্রেপ্তারের ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয়েছে। জামিন পেলে পরীমনি পালিয়ে যাবে বলে একজন উকিল (আইনজীবী) পত্রিকায় প্রকাশিত যে উক্তি করেছেন তা ঠিক না বলে আমরা মনে করি। পরীমনি কোনো খুনের বা বিরোট কোনো ঘটনার আসামী নয় যে পালিয়ে যাবে। পরীমনি আমাদের দেশের প্রিয় একজন শিল্পী। পরীমনির যে মামলার আসামী তাতে তাকে জামিন দিয়েও মামলা চলতে পারে বলে আমরা মনে করি। পরীমনি দোষী কি নির্দোষ সেটা আদালতের বিচারাধীন কিন্তু জামিন পাওয়া তার আইনি এখতিয়ার।
প্রসঙ্গত, গত ২২ আগস্ট পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান আদালতে জামিন আবেদন করেন। এরপর আদালত জামিনের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। তবে শুনানির দিন ধার্য করে দেওয়া আদেশ চ্যালেঞ্জ করে গত বুধবার হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীমণির জামিন আবেদনের ওপর অবিলম্বে অথবা আদেশের কপি পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে শুনানির নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রতি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর জামিন আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করে গত ২২ আগস্ট দেওয়া আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা-ও জানাতে বলা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতকে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ওই দিনই রুলের ওপর শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..