আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশীয় বাজারে সোনার দাম নির্ধারণ হয়। কিন্তু গেল সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রায় ৫০ ডলার কমলেও দেশীয় বাজারে সোনার দাম কমেনি।
আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম বাড়ায় গত মে মাসে দেশীয় বাজারে দু’দফায় ভরিতে সোনার দাম ৪ হাজার ৩৭৪ টাকা বাড়ায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। তবে জুনের শুরুতে বিশ্ববাজারে বড় দরপতনে দেশের বাজারেও কমানো হয় সোনার দাম। কিন্তু আগস্টের মাঝামাঝি বিশ্ববাজারে সোনার দামে বেশ অস্থিরতা দেখা দেয়। কয়েক দফা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে এক পর্যায়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১০০ ডলারের মতো বেড়ে যায়। তখন বাংলাদেশেও সোনার দাম বাড়ানো হয়।
সর্বশেষ গত ২২ আগস্ট বাজুস ভরিতে ১ হাজার ৫১৬ টাকা বাড়িয়ে সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করে। এতে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ৭৩ হাজার ৪৮৩ টাকা নির্ধারিত হয়।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ৭০ হাজার ৩৩৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ৬১ হাজার ৫৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৫১ হাজার ২৬৩ টাকা নির্ধারিত হয়। এ দামেই বর্তমানে বাংলাদেশে সোনা বিক্রি হচ্ছে।
দেশীয় বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর পর গেল সপ্তাহে বিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতন হয়। গেল সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার আগে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ১ হাজার ৮২৬ ডলার। আর সপ্তাহ শেষে তা কমে নামে ১ হাজার ৭৮৮ ডলারে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম কমেছে ৩৮ বা ২ দশমিক ১১ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কমানোর সঙ্গে দেশীয় বাজারে দাম সমন্বয় হবে কিনা এ বিষয়ে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা গণমাধ্যমকে বলেন, দেশীয় বাজারে সোনার দাম পুনর্নির্ধারণ করার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। এই মুহূর্তে দেশীয় বাজারে সোনার দাম কমানো-বাড়ানো হচ্ছে না।