রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। শেষ হবে আগামী ২৩ নভেম্বর।
সাধারণত প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এ পরীক্ষা শুরু হয়। তবে, করোনা মহামারির কারণে এ বছর নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৯ মাস পর পরীক্ষা হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে অভিভাবক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে।
২০২১ সালের সংশোধিত ও পুর্নবিন্যাসকৃত সিলেবাসে গ্রুপভিত্তিক ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা হবে। নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞানও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর অনলাইনে বোর্ডে পাঠাবে।
প্রতিটি পরীক্ষার সময়কাল দেড় ঘণ্টা হবে এবং এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষার মাঝে কোনো বিরতি থাকবে না। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরীক্ষার সময় করোনার স্বাস্থ্য নির্দেশিকা কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে।
গত ২৭ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলন থেকে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
তিনি আরও বলেছেন, ৮-২৫ নভেম্বর পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ২২ লাখ ২৭ হাজা ১১৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় শিক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন। এর মধ্যে ১১.৯৮ লাখ ছাত্রী এবং ১০.২৮ লাখ ছাত্র।
দীপু মনি বলেছেন, যদি কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং পরীক্ষায় অংশ নিতে চায়, তবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।