সড়ক দুর্ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি, শিক্ষার্থীদের জন্য দেশব্যাপী বাস ভাড়া অর্ধেক করা ও নিরাপদ সড়কসহ নয় দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় প্রতীকী কফিন মিছিল করছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রতীকী কফিন নিয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে অবস্থান না নিতে পুলিশ অনুরোধ করলে পরে তারা শাহবাগ মোড় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নেয়।
এর আগে সড়কে অনিয়মের প্রতিবাদে ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে শনিবার রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ এলাকায় ‘লাল কার্ড’ দেখিয়েছে আন্দোলনকারীরা। সেখান থেকে আজকের এই প্রতীকী লাশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এ সময় আন্দোলনকারীদের মধ্যে স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ইনজামুল হক বলেন, আমাদের ৯ দফা দাবি রয়েছে। আমরা এ দাবিগুলো বাস্তবায়ন চাই। বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীরা ১১ দফা দাবি জানিয়েছে। তাদের সাথে আমাদের কোন বিরোধ নেই। আজকে যেহেতু পুলিশ আমাদের শাহবাগে লাশের মিছিল নিয়ে অবস্থান করতে দেয় নি। তাই আজকের মতো আমাদের কর্মসূচি শেষ করলাম। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আমরা আগামীকাল (সোমবার) সন্ধ্যায় শহিদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বলন এবং প্রতিবাদী গানের আয়োজন করবো।
শিক্ষার্থীদের নয় দফা দাবিসমূহ:
১. বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো ড্রাইভারকে ফাঁসি দিতে হবে এবং এই বিধান সংবিধানে সংযোজন করতে হবে।
২. নৌপরিবহন মন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।
৩. ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধ ও লাইসেন্স ছাড়া চালকরা গাড়ি চালাতে পারবেন না।
৪. বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া যাবে না।
৫. শিক্ষার্থীদের চলাচলে এমইএস ফুটওভারব্রিজ বা বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৬. প্রত্যেক সড়কে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় স্পিডব্রেকার দিতে হবে।
৭. সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্রছাত্রীদের দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।
৮. শিক্ষার্থীরা বাস থামানোর সিগন্যাল দিলে থামিয়ে তাদের নিতে হবে।
৯. শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..