বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৬ অপরাহ্ন

রাজশাহীর তানোরে বিক্ষোভ নিয়ে বিক্ষুব্ধ তৃণমুল

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ১৪১৬ বার পঠিত

তানোর (রাজশাহী)প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে আয়োজিত কথিত বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তৃণমুলের নেতা ও কর্মী-সমর্থকগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে স্থানীয়রা জানান, দায়িত্বহীন সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের উঠেছে সমালোচনার ঝড় বইছে মুখরুচোক নানা গুন্জন, প্রতিনিয়ত গুন্জনের ডালপালা মেলছে। আবার কেউ কেউ বলছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের আগামি দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তাদের রাজনৈতিক জীবনের অবসান ঘটতে চলেছে, তাই যেকোনো মুল্য তারা টিকে থাকতে ফের দলের নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করতে কথিত রাজনৈতিক কর্মসুচির নামে অপতৎপরতা শুরু করেছে বলে মনে করছে তৃণমুল। তৃণমুলের অভিযোগ এরা সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকতে তেমন কোনো দায়িত্বই পালন করেনি দলীয় কর্মসুচি তো পরের কথা, জাতীয় এমনকি মুজিববর্ষ ও আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কোনো কর্মসুচিতেও তারা উপস্থিত হতে পারেনি, আবার বিভিন্ন নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ও এমপির বিরোধীতা করে পৃথক বলয় সৃস্টির নামে দলীয়কোন্দল সৃস্টি করেছে। ফলে তৃণমুলের দাবির মুখে বাধ্য হয়ে এদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে ভারপ্রাপ্তদের হাতে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ভারপ্রাপ্তরা যখন সংগঠনকে চাঙ্গা করতে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছেন, ঠিক তখানোই এরা নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত ও আওয়ামী লীগে দলীয় কোন্দল সৃস্টি করতে নানা অপতৎপরতা শুরু করেছেন বলে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অভিযোগ তুলেছে। স্থানীয়রা বলছে এদের অপতৎপরতা গাঁয়ে মানে না আমি মোড়ল সেই প্রবাদ বচনকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের ব্যানারে কর্মসুচি দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে, অথচ সেখানে নেই স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ তাহলে কি হাতেগোনা চেনামুখের এই কজনায় আওয়ামী লীগ যার মধ্যে আবার সিংহভাগ বির্তকিত, কি আফসোস তবে কি আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে না এরাই দেউলিয়া হয়ে ভালমন্দ-হিতাহিত গ্যাণ হারিয়ে চরম হতাশা থেকে এসব করছে। কারণ দেশের রাজনীতি যেখানে এমপি কেন্দ্রিক সেখানে এমপিকে বাইরে রেখে রাজনীতি করে তারা কি বোঝাতে চাইছে, কয়েক লাখ মানুষের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সাংসদদের থেকেও এরা বড়,নাকি এসব করে সাংসদকে চাপে রেখে অবৈধ সুবিধা আদায়ের কৌশল ইত্যাদি হাজারো প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মনে দেখা দিয়েছে। এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে আয়োজিত কর্মসুচিতে গোলাম রাব্বানী ও আব্দুল্লাহ আল-মামুনের বক্তব্য ছিল এমপিবিরোধী বিষোদাগারে ভরপর, তাদের বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে এটা এমপির বিরুদ্ধে ডাকা কোনো কর্মসুচি। ফলে এই কর্মসুচি নিয়ে আওয়ামী লীগের আদর্শিক নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে, বইছে মুখরুচোক নানা গুন্জন, জনমনেও মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়। এব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল কারো কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com