শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৭ অপরাহ্ন

২০২১ সালে সারা দেশে সড়ক, নৌ ও রেল পথে মোট নিহত ৫ হাজার ৬৮৯

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১৬১ বার পঠিত
নিজস্ব সংবাদদাতা : ২০২১ সালে সারা দেশে সড়ক, নৌ ও রেল পথে মোট ৪ হাজার ৯৮৩টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত ৫ হাজার ৬৮৯ জন এবং আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৮০৫ জন।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্ঘটনার সংখ্যাসহ নিহত ও আহতের এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)।
নিসচা এর চেয়ারম্যান ও অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, সড়ক পথে ৩ হাজার ৭৯৩টি দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ২৮৯ জন নিহত হন। এবং আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৪২৪ জন। রেল পথে ২৭০টি দুর্ঘটনায় ২৫৪ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হন ৪২ জন। নৌ পথে ৯০টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৯৮ জন এবং ৩৩৯ জন আহত হয়েছেন একই সঙ্গে নিখোঁজ ১৮৬ জন। এসব তথ্য ইলেকট্রনিক মিডিয়া, ১১টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টাল থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। একই সঙ্গে গণমাধ্যমে প্রকাশিত নয় ৮৩০টি দুর্ঘটনায় ৯৪৮ জন নিহত হয়েছেন। যা আনুমানিক ২০ শতাংশ। এ পরিসংখ্যান ও প্রতিবেদনের সেকেন্ডারি তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রস্তুত করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ২০১৯ ও ২০২০ সালে সড়ক, নৌ ও রেল দুর্ঘটনার সংখ্যা, আহত ও নিহতের তথ্যও তুলে ধরেন ইলিয়াস কাঞ্চন। এতে দেখা যায় ২০১৯ সালে সারা দেশে মোট দুর্ঘটনা ঘটেছিল ৪ হাজার ৭০২ টি, নিহত হয়েছিলেন ৫ হাজার ২২৭ জন এবং আহত হয়েছিলেন ৬ হাজার ৯৫৩ জন। ২০২০ সালে ৪ হাজার ৯২ টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪ হাজার ৯৬৯ জন এবং আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৮৫ জন।  করোনা মহামারির কারণে গত বছর জরুরি যানবাহন ছাড়া অন্যান্য পরিবহন প্রায় ৬ মাস বন্ধ ছিল। সেই হিসেবে দুর্ঘটনা কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকুলেও তা হয়নি। বরং ২০ সালের তুলনায় ২১ সালে ৮৯১টি দুর্ঘটনা বেশি হয়েছে। যা ২০২০ সালের দুর্ঘটনার চেয়ে ২১ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালের ৬১০টি দুর্ঘটনা কম ছিল।
সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রীর মৃত্যুর পর গত ২৯ বছর ধরে নিরাপদ সড়কের জন্য কাজ করছেন চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। এ বছর সড়ক দুর্ঘটনায় দায়ী কারণ গুলোও তিনি উল্লেখ করেছেন।
সেগুলো হলো: সড়কের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিংয়ের অভাব; টাস্কফোর্সের ১১১টি সুপারিশনামা বাস্তবায়ন না হওয়া, চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর প্রবণতা; দৈনিক চুক্তিভিত্তিক গাড়ি চালানো; লাইসেন্স ছাড়া চালক নিয়োগ; পথচারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাব; ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে ওভারটেকিং করা; বিরতি ছাড়াই দীর্ঘসময় ধরে গাড়ি চালনো; ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানো বন্ধে আইনের প্রয়োগ না থাকা; সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও তিন চাকার গাড়ি বৃদ্ধি; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি; একই রাস্তায় বৈধ-অবৈধ এবং দ্রুত-শ্লথ যানবাহন চলাচল; রাস্তার পাশে হাটবাজার ও দোকানপাট থাকা। করোনায় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও সুযোগ সন্ধানীরা যান চালাতে গিয়ে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিতে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালনো; ব্যাটারিচালিত যান সড়ক মহাসড়কে উঠে বেপরোয়া গতিতে চালানো; অশিক্ষিত ও অদক্ষ চালক, রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বাস্তবায়ন না হওয়া।
দুর্ঘটনার এই পরিসংখ্যান উপস্থাপনার সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নিসচা এর মহাসচিব সাদেক হোসেন বাবু, দুর্ঘটনা ও পরিসংখ্যান সম্পাদক সৈয়দ এহসানুল হক কামাল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান তালুকদার প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com