তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়ন (ইউপি) যুবলীগের বিশেষ বর্ধিতসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানা গেছে, ৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ইউপি যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সহকারী রেজাউল ইসলামের সঞ্চালনায় দুইবল উচ্চ বিদ্যালয় চত্ত্বরে আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না।অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আবু বাক্কার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওহাব হোসেন লালু,প্রচার সম্পাদক আহসানুল হক স্বপন,নির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব আবু সাঈদ সরকার,পাঁচন্দর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, বাধাইড় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের ইসলাম, তানোর পৌর যুবলীগের সভাপতি রাজিব সরকার হিরো,কৃষক লীগের সভাপতি জাইদুর রহমান, অধ্যক্ষ শহীদুল হক, আরিফ রায়হান তপন, আহম্মেদ সিজার, জুলফিকার আলী হিরো,দেবানন্দ দেবা, তোফায়েল আহম্মেদ, নির্মল কুমার,জিয়াউর রহমান জিয়া ও হাবিবুর রহমান প্রমুখ। আসন্ন পৌরসভা ও ইউনিয়ন ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর দিকনির্দেশনায় আগামিতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সাংগঠনিক কর্মকান্ড জোরদার এবং আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংকের পরিধি কিভাবে বৃদ্ধি ও নৌকার বিজয় নিশ্চিত করা যায় মুলত তার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হয়। এদিকে আসন্ন পৌরসভা ও ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সাংগঠনিক অবস্থা এবং কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা করা হয়। তানোরের দুটি পৌরসভা ও সাতটি ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা দলীয় মনোয়ন প্রত্যাশা করে মাঠে নেমেছেন। আওয়ামী লীগ দেশের সর্ববৃহত রাজনৈতিক দল এই দলে মনোনয়ন পাবার মতো অনেক যোগ্য নেতা রয়েছে তবে দল থেকে তো একজনকে মনোনয়ন দেয়া হবে। এসব বর্ধিত সভায় তাই মনোনয়ন নয় দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ড কিভাবে আরো জোরদার ও দলের মনোনিত প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করা যায় সেই বিষয়গুলোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে দলীয় মনোনয়ন দিবেন তাকেই বিজয়ী করতে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন বলে ওয়াদা করেন। এছাড়াও মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে কেউ যদি বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোট করার নামে দলে বিশৃঙ্খলা সৃস্টি করতে চাই তাহলে তাকে শক্ত হাতে দমন করা হবে বলে উপস্থিত সকল নেতাকর্মী ঐক্যমত পোষণ করেন। এদিকে দেবানন্দ দেবা বলেন, বিএনপি সৃস্টি করেছিল হাওয়া ভবন আর মেয়র গোলাম রাব্বানী সৃস্টি করেছিল সাইদুর ভবন যে সাইদুর কুলির সরদার ও মুন্ডুমালা মহিলা কলেজের নৈশপ্রহরী। তিনি নৌকার ভোটে মেয়র হয়ে জামায়াত-বিএনপির এজেন্ডা হয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, এরকম বেঈমান-মিরজাফর ও বিশ্বাসঘাতক আর নেতৃত্বে দেখতে চাই না পৌরবাসী।