রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন

নিলামে ওঠা আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সাতটি গাড়ি বিক্রি হলো ২ কোটি ৯০ লাখ টাকায়

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ১৮৭ বার পঠিত
নিলামে ওঠা আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সাতটি গাড়ি বিক্রি হলো ২ কোটি ৯০ লাখ টাকায়
ফাইল ফটো
অনলাইন নিউজ : নিলামে ওঠা আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সাতটি গাড়ি বিক্রি হয়েছে ২ কোটি ৯০ লাখ ৫৫ হাজার টাকায়। এর মধ্যে ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেলের রেঞ্জ রোভার গাড়িটি বিক্রি হয়েছে ১ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
রাসেলের রেঞ্জ রোভারই বিক্রি হয়েছে ১ কোটি ৮১ লাখ টাকায়
ভালো দাম পাওয়া গেছে : হাবিবউল্লাহ
আরও চারটি নতুন গাড়ির সন্ধান
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডি ১৪ নম্বর সড়কে ভিক্টোরিয়া কনভেনশন সেন্টারে ইভ্যালির গাড়িগুলোর নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।
নিলাম শেষে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নিলামের মাধ্যমে গাড়িগুলো বিক্রি হয়েছে। নিলামে ডাক পরিচালনা করেন হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার আবদুর রহমান ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান। এ সময় ইভ্যালির এমডি ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেলের একটি রেঞ্জ রোভার গাড়ি দিয়ে নিলাম প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১ কোটি ৬০ লাখ ভিত্তি মূল্যের এই গাড়িটি বিক্রি হয় ১ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ২০২০ সালের রেজিস্ট্রেশন করা গাড়ি এটি। গাড়িটি কিনেছেন হাবিবুর রহমান নামের একজন ব্যবসায়ী। গাড়িটি কিনতে নিলামে অংশ নেন ১৫ জন।
গাড়িটি ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা বিক্রির বিষয়ে সাবেক বারবিডার সভাপতি হাবিবউল্লাহ ডন সময়ের আলোকে বলেন, যদি রেঞ্জ রোভার গাড়ি ১ কোটি ৮১ লাখ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে তাহলে ভালো দাম পাওয়া গেছে। এটি দেশে আড়াই কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে। যেহেতু দুই বছর ব্যবহার হয়েছে সেই অনুযায়ী দাম ঠিক আছে। এদিকে গাড়ির দামের একই কথা বলেছেন বারবিডার বর্তমান সভাপতি আব্দুল হকও।
ল্যান্ড রোভারের একটি ব্র্যান্ড হচ্ছে ‘রেঞ্জ রোভার’। ল্যান্ড রোভারের ৭টি মডেলের গাড়ি আছে। যেমন- ল্যান্ড রোভার ডিফেন্ডার ও ডিসকভারি। এরকমই আরেকটি মডেল হলো ‘রেঞ্জ রোভার’। এখন যেমন ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িটির পুরো নাম হলো ‘টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার’, তেমনই এই মডেলটির নাম হলো ‘ল্যান্ড রোভার রেঞ্জ রোভার’। বর্তমানে ভ্যাট ছাড়া বাংলাদেশে আমদানিকৃত ‘রেঞ্জ রোভার’ গাড়ির দাম ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
এ ছাড়া নিলামে বিক্রি হওয়া ইভ্যালির টয়োটা প্রিউস প্রাইভেট কারটি বিক্রি হয়েছে ১৭ লাখ ৩০ হাজার টাকায়। মোহাম্মদ রিপন ইসলাম নামের এক ক্রেতা এ দর দিয়ে গাড়িটি কেনেন। টয়োটা সিএইচআর মডেলের গাড়িটির সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ২৩ লাখ ৮০ হাজার। প্রশান্ত ভৌমিক নামের এক ক্রেতা এ দর হাঁকিয়ে গাড়িটি কেনেন। গাড়িটির ভিত্তি মূল্য ছিল ১৮ লাখ টাকা। টয়োটা এক্সিও মডেলের গাড়িটি বিক্রি হয়েছে ১৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকায়। আবুল হাসনাত রাসেল নামে এক ক্রেতা গাড়িটি নিলামে সর্বোচ্চ এ দর হাঁকিয়ে কিনেছেন। নিলামে গাড়িটির ভিত্তি মূল্য ছিল ৯ লাখ ১৮ হাজার টাকা। টয়োটা এক্সিও মডেলের দ্বিতীয় গাড়িটির নিলামে সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১৫ লাখ টাকা। নিলামে গাড়িটির ভিত্তি মূল্য ছিল ৯ লাখ ১৮ হাজার টাকা। গাড়িটি সর্বোচ্চ মূল্য ১৫ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছেন প্রশান্ত ভৌমিক। নিলামের মাধ্যমে দুটি গাড়ি কেনেন তিনি।
ইভ্যালির হোন্ডা ভেসেল গাড়িটির নিলামে সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। নিলামের একমাত্র নারী ক্রেতা কানিজ ফাতিমা ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা দর হাঁকিয়ে গাড়িটি কিনেছেন। নিলামে গাড়িটির ভিত্তি মূল্য ছিল ১৬ লাখ টাকা। নিলামে সর্বশেষ উঠে ইভ্যালির টয়োটা ব্র্যান্ডের মাইক্রোবাসটি। নিলামে মাইক্রোবাসটির সর্বোচ্চ মূল্য ওঠে ২০ লাখ টাকা। এ দর হাঁকিয়ে মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন নামে এক ক্রেতা গাড়িটি কিনেছেন। নিলামে গাড়িটির ভিত্তি মূল্য ছিল ১২ লাখ টাকা।
নিলামের সার্বিক বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও সাড়ে ১৭ শতাংশ ভ্যাটের জন্য নিলামে গাড়ি কেনা একাধিক মালিক কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, শোরুম থেকে গাড়িগুলো কিনলে অতিরিক্ত এ ভ্যাট দিতে হতো না। নির্ধারিত মূল্যের মধ্যে ভ্যাটের টাকা চলে আসত। কিন্তু এখানে নিলামের নির্ধারিত দাম পরিশোধের পরও অতিরিক্ত সাড়ে ১৭ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। তবে এ টাকাটা যেহেতু ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের কাছে যাবে সে ক্ষেত্রে তারা এটাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন।
এদিকে ইভ্যালির আরও চারটি গাড়ির সন্ধান পেয়েছে ইভ্যালি পরিচালনায় গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটি। পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক জানান, গাড়ি চারটি ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল তাদের দিয়েছিলেন। যাদের কাছে গাড়িগুলো আছে, তাদের নাম-ঠিকানাও পাওয়া গেছে। গাড়ি আটকে রাখা আইনের দৃষ্টিতে চুরি। আগামী রোববারের মধ্যে তারা গাড়িগুলো ফেরত না দিলে অভিযান চালিয়ে সেগুলো উদ্ধার করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com