বিডি ঢাকা অনলাইন ডেস্ক: চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার হোসেন ডাংগায় বিনা উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল সরিষা (বিনাসরিষা-৪) এর উপর মাঠদিবস ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিনা) এর উপকেন্দ্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ কর্তৃক পরিচালিত গবেষণা ও সমপ্রসারণের অংশ হিসেবে উক্ত মাঠ দিবস বিনার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মো. হাসানুজ্জামান এর সভাপতিত্তে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে (ভার্চুয়ালী) উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সফল বিজ্ঞানী, বিশিষ্ট উদ্ভিদ প্রজননবিদ ও বিনার সুযোগ্য মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম।
বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূ-গর্ভস্থ’ পানির স্তর ক্রমান্বয়ে নি¤œগামী হওয়া ও আবহাওয়ার পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় গবেষণা কার্যক্রম চলছে। গতানুগতিক আমন-বোরো দুই ফসলি শস্য পরিক্রমার পরিবর্তে আমন-রবি-বোরো ও আমন-রবি-আউশ পরিক্রমায় গবেষণা হচ্ছে। রবি মৌসুমে সরিষা, মসুর ও গম চাষ করা হচ্ছে।সরিষা কাটার পর কিছুটা দেরীতে রোপনের উপযোগী ধান রয়েছে “বিনাধান-১৪” যার ফলন তুলনামুলক বেশি। দেরীর জন্য অনেক সময় বৃষ্টির পানির দ্বারা সেচের পানির কিছুটা চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। তেমনি গম কাটার পর বা মসুর কর্তনের পর আউশ ধান “বিনাধান-১৯/বিনাধান-২১” লাগালে সেচের পানির চাহিদা অনেকটা বৃষ্টির পানি দ্বারা পূরণ হয়। বোরো ধানের পরিবর্তে রবি বা রবি-আউশ শস্য চাষ করলে ভূ-গর্ভস্থ’ পানি সম্পদের দীর্ঘস্থায়ী ভারসাম্য বজায় থাকবে। বক্তব্যে আরও জানানো হয় যে, চাষকৃত বিনাসরিষা-৪-এর ফলন প্রায় ৭.৫ -৮.০ মণ/বিঘা। এর জন্য দুইটি সেচই যথেষ্ট- একটি সেচ বীজ বপনের ১৫-১৮ দিন পর ও দ্বিতীয় সেচটি ফুল আসা পর্যায়ে দিতে হয়। সরিষা চাষ বৃদ্ধি করলে আমদানী নির্ভর সয়াবিনের পরিবর্তে ভৈজ্য তেল হিসেবে সরিষা তেলের ব্যবহার বাড়বে, ফলে জাতীয়ভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।
অন্যান্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ জনাব মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, বিনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: ফরহাদ হোসেন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. জুবায়ের আল ইসলাম ও পরীক্ষণ কর্মকর্তা জনাব মো: আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।